জীবনের প্রতিটা আয়োজনে আমি সাক্ষী হয়ে রই
আগোছালো কিছু ভোর কিংবা রাতের নীল রঙের ছোঁয়ায়!
যখন নৃত্যের ষোলকলার উচ্চশিখরে পৌঁছানোর চেষ্টায় চাঁদ
তখন শীত মোড়কে চাষাবাদ করে অমাবস্যার নগ্ন হাত।
বাতাসের ছন্দতালিকায় পাতার গুঞ্জনে মাতামাতি বৃক্ষকথা
যেখানে মৃত্তিকার বুকে শিশুর হাসি বশ করে কুয়াশার আবেগ!
শৈশবের উঠোন জুড়ে স্খলিত অপস্রিয়মাণ কিছু মুখ
ফুটে রয় এই শীতের মৌসুমে ছন্নছাড়া শীতফুল হয়ে।
সময়ের নির্যাস পেতে শ্বশ্রূষায় ব্যস্ত সব নগর পথিক
যাদের আদ্যোপান্তে গোধূলি-আচ্ছন্ন মিছে দেনা-পাওনার হিসাব!
পৈতৃক বারান্দা ছেড়ে ছুটে চলে উদ্দেশ্যহীন গন্তব্যের খোঁজে
যেখানে শীত অনুভবে শিশিরের সাথে মগ্ন কিছু কিছু ঘাস ফুল।
ঘুচে গিয়ে নৈশ ইঁদুরের দাপাদাপি, সদ্যজাত শিশুর কান্নার মত
সত্য –সুন্দর আবহ আসুক এবারের শীত বেহিসাবি পলাতক সুখ নিয়ে
ডানা-ঝাপটানো আঁধার মুছে আলোকিত হোক অভিশপ্ত নগরের ঠোঁট।
বছরের প্রথম লেখাটি আজ দিলাম। সকল সুহৃদ কবি এবং পাঠক কে জানাই নতুন বছরের(২০১৬) শুভেচ্ছা।