তারপর প্রতিদিনের মতই স্বাভাবিক জীবন
রিক্সার হর্ন, গির্জার ঘণ্টা,আর মসজিদের আযানের শব্দ ভেসে আসে,
আমি আর আমার বন্ধ জানালা, যার ভেতরে দগ্ধ দৃশ্যাবলী
অচেতন খোলসে পড়ে থাকে, দায়গ্রস্ত নিষ্ফলা জমিন হয়ে!
ক্লান্ত সিথানে গুঁজে দেয় ঘুটঘুটে অন্ধকারময় নিভৃত স্বত্বা।
বারান্দার গ্রিলে জমে বিন্দু বিন্দু বৃষ্টির ফোঁটা
সবকিছুই নিজের মত নড়েচরে বসে!
কতিপয় কলঙ্কিত কীট মাতাল হয়ে;
ছুঁয়ে যায় আমার মস্তিষ্ক আর নিজস্বতা।
মাথাটা বড্ড ধরে আছে,
এভাবেই প্রতিদিন নগর ফনার ভস্মস্তূপে, আমি ধ্বংসচিহ্ন রেখে যাই
রাতের ভাংঙাচোরা হিবিজিবি প্রশ্নের উত্তরে
নিজেকে ভীষণ অসহায় লাগে।
একটা অস্থির হামাগুড়ি স্বপ্ন; যা ছাই হয়ে গেছে এখন
তবুও ধোঁয়া হয়ে আসে বুকের কাছে
রক্তাক্ত দস্যু হয়ে বিচরন করে প্রতিটা রক্তকোষে।
ক্লান্ত চোখ জনমের ঘুমে আচ্ছন্ন সেই কবে থেকে; তবু
সোনার হরিণের মত চক্ষুহীন ঘুম
পালায় কুহক হয়ে কুহকের টানে।