জীবন আর মৃত্যুর মাঝে
কতখানি দূরত্ব বলতে পার ?
এ যাত্রায় জানি আমি মৃত
তবুও ফিরে তাকাও, কিছু কি গেলে ভুলে ?
জানি, এ জনমে আমি ভীষন বেমানান, এই
শক্ত ইট পাথরে গড়া উঁচু উঁচু দালানে।
বলবে কি ?
শহরের মত মানুষের মন ও কি পাথরের তৈরী ?
দেখ অহংকারী গোলাপ
কাঁটার আঘাতে আজ মূর্ছা প্রায়
কি হবে এমন জাগতিক সৌন্দর্যে
আমি এখন আর ঘুমন্ত নই
চোখ ভরে দেখি নদীর আলো আঁধারের খেলা
যে নদী দুকূল ভাসিয়ে কাঁদিয়েছিল চারপাশ
সবুজ জীবনের খামে পুরে দিয়েছিল যন্ত্রনার প্রলেপ
আজ তার বার্ধক্যে গায়ে ক্লান্তির ঘ্রাণ।
কি হবে এত কিছু ভেবে?
কি হবে , এমন মায়াবী আলোতে অন্যের প্রতিচ্ছবি এঁকে
এ যে কাঁচা হাতে আঁকা, রঙ বড় বেশী অস্পষ্ট
যেমন আবছা কুহেলিকায় আগত দূরের জাহাজ।
মনের ভেতরের তুমিকে যেদিন চিনতে পারবে
সেদিন জানি আমাকে মন থেকে ডাকবে
বলবে ভালবাসি।
আজ যে কেবল নিঃশব্দে বুঝে নিচ্ছে তার হিসাব
একদিন তার কন্ঠেও রহস্যময় ছায়া ভেদ করে
প্রিয় সুর হলদে তৃণ হয়ে সোনালী আভায়
খিলখিল করে গজাবে সৃষ্টির আনন্দে।
আজ জলের অণুতে বেনামী বিষ
ঢেলে জীবন্ত মাছগুলোকে শেকড়চ্যুত করছ
একদিন লোকারণ্যেও নিজেকে খুব একা
বলে মুখ লুকাবে।
তাকাও একবার দেখ, খুব ভাল করে দেখ নিজেকে
শত আগন্তুকের ভীড়ে বাতাসের কাঁপুনিতে
বাতিঘরের ভয়াল সংকেত তীক্ষ্ণ ফলার মত
বিঁধে কি বুকে??