চারদিকে বড় বড় অট্টালিকা, প্রফুল্ল হাসির আওয়াজ
যে যার মতো গড়ছে জীবন এবং জীবিকা...
হৃদয়ের হরিত উপত্যকায়,এক পশলা বৃষ্টির আচ্ছাদনে
যে যার মত মৌসুমি ফসল তোলার আমেজে মত্ত
এখন তাদের কাণ্ড,পাতা, ফুল,ফল আর মূল,যথেষ্ট স্বপুষ্ট।
আর আমি? এখনও অপেক্ষায়!
একটিমাত্র জীবন্ত পঙতির সরোবরে ভাসবো বলে!
আমি ছুঁতে চেয়েছি তোমার শিহরিত গ্রীবা, চিবুক,
আলপনা আঁকা ফর্সা চারুময় পায়ে নূপুরের নিক্কন;
মাটির উষ্ণতায় আমার চাতালে ঊর্ধ্বমুখী হয়নি এখনও
নতুন কোন ফসলের ঘ্রাণ, শব্দের হাত ছুঁয়ে
দেয়নি ধরা, নতুন কবিতার ছন্দ কণা!
আমি চেয়েছিলাম আগামীর উৎসব,
চেয়েছি, নিজস্ব কলমের ফলায় কাব্যের স্বাধীনতা
আমি চেয়েছি তোমাকে! চেয়েছি তোমার চঞ্চলতা!
যেদিন ধরা দিবে তুমি কোন একগুচ্ছ নরম তৃণের মূলে
মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে আমার এই নির্জন ঘরে;
থমকে থাকা বাতাস সেদিন বর্ণমালার গাঢ় উচ্চারণে
উজ্জীবিত হবে আগত সম্ভাবনায়।