তোমার আনাচে কানাচে
কোলাহলহীন বুকের তীক্ষ্ণতা ছুঁয়ে;
আমি ছিলাম কুমারী জ্যোৎস্না হয়ে!
উদাসীন তুমি দেখনি চোখ মেলে
তোমার উদাস খেয়ালে।
ছিলাম তোমার নিংড়ানো সিগারেটের ধোঁয়ায়
আলোছায়া অন্ধকারে সজল বিশ্বাসে!
ভেসে গেছি কতবার বাতাসের সিড়ি বেয়ে;
অনন্ত নীলিমায় মিশে গেছি মেঘ হয়ে
অপাঠ্য তালিকায় কুহকের মতো;
বুক পকেটে বৃষ্টি হয়ে ঝরার আবেদনে।
জানি কখনও তোমার জীবনদীঘিতে
হবে না আমার সোনালি পথ চলা!
রহস্যময় তুমি কেবল ভাসাও কোন এক
রাগী ও অভিমানী পুরুষের মতো;
কখনও জলোচ্ছ্বাস হয়ে
কখনও দম বন্ধ করা গভীর উৎকণ্ঠায়।
তোমার বিশ্বাসী ওমের ভাঁজে
আমি লিখে যাই কবিতার শরীর!
তিলে তিলে গড়া কবিতার উপমা
উৎপ্রেক্ষা আর ব্যঞ্জনার ধারাপাত!
খুঁজে ফিরি রূপকল্প বিন্দু বিন্দু ঘাম কপালে
থুতনি ছোঁয়ানো ঠোঁটের বুকে
তোমার আঙ্গুলের আলিঙ্গনে।
উৎসর্গঃ দোস্ত রাবেয়া রাহীমকে ......অনন্ত ভালোবাসায়