আর এভাবেইএকদিন
পুরোনো টিনের দরজা ভেঙ্গে যায়
পরে থাকে জংধরা লোহার টুকরা
সজল শৈশব লুকায় জলহীন চৌবাচ্চায়
নুন ভরা দেহে শতাব্দীর ক্লান্তি নামে ধেয়ে।
গল্পের পাদদেশে হিজল তমালের বনে
ধূসর সামিয়ানা বুকে থেমে যায়
সরব পাখির কোলাহল।
নিঃসঙ্গ আঙ্গুলে বাঁধে পোকাও মড়কের বাস।
একটা মাত্র শুদ্ধ অনুচ্ছেদ খুঁজতে খুঁজতে
চাষাবাদ হয় সময়ের শত উপহাস।
ঘোর লাগা চোখ ছাঁদে আর কার্নিশে
শতাব্দীর জানালা খুলে খুঁজে জীবনের সূত্র।
কত অপ্রত্যাশিত বার্তায় বয়ে বেড়ায় চলন্ত অক্সিজেন।
মৃত্যুর প্রত্যাশা নিয়ে জন্মায় ছোট চারা গাছ।
একদিন ফুল পাখি আর পাতার আনাগোনায়
রোদের ওমে ভিজায় পালক সবুজের বুক ছোঁয়ে।
ঘরের দাওয়ায় বসে অপেক্ষায়
অনুচ্চারিত নিঃশব্দ গোঙানী।
বাতাসে উড়ছে তখন অশনিসংকেত
শেষ হাহাকারএ মৃত্যুর মমতা ছোঁয়ায়
ব্ল্যাক আউট চেতনায়।