চারদিকে কামিনী ফুলের সৌরভ!
মুগ্ধ আত্মবিশ্বাসে ভিজে গেলো আমাদের পূর্ব পুরুষের ভিটেমাটি;
চিলেকোঠা, ঘরের বারান্দা,রাত শয্যার তুলো
জ্যোৎস্নার নির্যাসে ভিজে গেলো
অযত্নে পরে থাকা বাবার ইজিচেয়ার!
হতাশা ভরা চাহনী আজ ভুলে গেলো
কপালে হাত ছোঁয়ানো আমাদের অগ্রজদের
কষ্টার্জিত বিন্দু বিন্দু ঘাম।
শুধু এইটুকু ভেবে সুদিন আসবে
আবার আলো আঁধারের দুটি পথ ছুঁয়ে ছন্দের নৈবেদ্যে;
জন্ম নেবে আমলকি, কদবেল, জামরুল আর নাসপাতির কচি পাতা।
লুপ্ত ইতিহাস আবারও সকল ঝঞ্ঝাট ভেদ করে
সুবর্ণ বীজকোষে মাথা চারা দিয়ে উঠবে নতুন আগ্রহে।
নোংরা বস্তি, ফুটপাতে শিশুর কান্না, উপাসনালয়ে লোক-দেখানো
প্রার্থনা, নিষিদ্ধ গণিকালয়ে মুখচোরা ভদ্রলোকের আনাগোনা,
সিগারেটের ধোঁয়ার মতো বন্ধুর বিশ্বাস, তাসের মতো ছড়ানো
প্রেমের প্রতিজ্ঞাবদ্ধতা যখন ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে
ভুল পদক্ষেপে, ভুল সংজ্ঞায় তখন…………………
রুদ্রের চুমুতে পীড়নের দাগ মুছে গিয়ে বক্ষবন্ধনী জুড়ে থাকুক
আমাদের পূর্বপুরুষের বিশুদ্ধ মাটির মায়া।
অযাচিত ভাঙন নয়, নয় সভ্যতার বিলুপ্তি, সম্পর্কের অস্থিরতা নয়;
সহাস্যে বিশুদ্ধতম মানুষ জন্মের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায় রত হোক
আমাদের প্রতিটা মৌসুমি রাত!
তাদের জীবন ও জীবিকার পবিত্র উপাখ্যান লেখা হোক
আমাদের আগত সন্তানের বুকে।