আমি একদিন নিশ্চিত মহাকাশচারী হবো,
শতকোটি আলোকবর্ষ পাড়ি দেবো চোখের পলকে।
হয়তো সেদিন পৃথিবীর সব নক্ষত্রগুলো
আয়োজন করে খসে পড়বে আমার ধূলোজমা বুকে।
অথবা আমি নিজেই তোমাদের চোখে নক্ষত্র হবো।
যে দিন মৃত্যুর ফেরেশতা সায়াহ্নের পরোয়ানা
নিয়ে দাঁড়াবে আমার দরজার ওপারে।
সেদিন যেনো এমন হয়, আমি গভীর ধ্যানে
একটি শ্রেষ্ঠ প্রেমের কবিতা লিখছি,
পরম স্রষ্টার সৃষ্টিতে মুগ্ধ হয়ে।
অথবা ফজরের ওযুর পানি ঘামের মতো
লেগে আছে আমার মুখ মন্ডলে।
হতে পারে সেদিন আমি
ভিখারির মতো সেজদায় রবো মসজিদের এক কোণে।
এবং পৃথিবীর যতো মানবিক ঋণ
আমায় দায়মুক্তি দিবে, করে সবকিছু নিঃশেষ।
হতে পারে সেদিন পৃথিবীর প্রান্তরে
ফুঁটবে সহস্র কোটি গোলাপ, গন্ধরাজ, বকুল।
হতে পারে তীব্র অন্ধকারকে গিলে খাবে,
একটি জোৎস্না শানিত শাদা রোদের পালক।
হতে পারে পথ হারিয়ে এক মেঘের দল এসে বলবে
হে কবি, লিখে নাও আজ তোমার প্রথম প্রেমিকার জন্য
একটি জগৎ বিখ্যাত কবিতা।
তাতে ও আমি জাগতিক এ ষড়যন্ত্রে
কিঞ্চিৎ বিগলিত হবো না আর।
যদি এমন হয় সেদিন,হে রহমান।
তুমি সন্তুষ্ট আমার কাজে;
তবে প্রার্থনা নাও এক নিকৃষ্ট কবির
সেদিনই ডেকে নিও আমায়,
তোমার অনন্ত দরবারে।