রৌদ্রালোকে মেঘদের আনাগোনা,
ভূলোকের আবেশিত জলকণা;
মনোরম নিবেদন : রৌদ্রে নাচে বৃষ্টি!
অবয়বে প্রজাপতি অনুনাদ,
দেহের জমিনে ফোটে ফুল;
রৌদ্রে নাচে বৃষ্টি!
সত্তার ধ্বনিত হাওয়া,
ভাবের স্মরণ পাখির গলায়;
রৌদ্রে নাচে বৃষ্টি!
সভ্যতার আবাদ সমন্বয়ী বাগান,
আলো-ছায়া গড়ন গঠন শুনিয়ে যায় প্রগাঢ় গল্প;
রৌদ্রে নাচে বৃষ্টি!
হাতের আদরে নকশা কেটে চিত্রপটে রামধনু খেলাঘর,
জীবন বাঁধাই করে জীবন্ত আলোর ছাঁচে;
রৌদ্রে নাচে বৃষ্টি!
শব্দে গেঁথে মন, ছন্দে বেঁধে প্রাণ : যুগল বেঁধে
কাগুজে পথে কলমের সাথে গাই জীবনের গান;
রৌদ্রে নাচে বৃষ্টি!
স্রষ্টার সৃষ্টির উল্লাসে স্বর্গ হাসে মর্ত্যে,
সৃষ্টির সৃষ্টি কৃষ্টি স্রষ্টার;
মনোরম নিবেদন : রৌদ্রে নাচে বৃষ্টি!
“প্রিয় দুই পাঠক দুই বোন ইসরাত আরা ও ইফ্ফাত আরা-কে উৎসর্গ করলাম।”
“রৌদ্রে নাচে বৃষ্টি!” (রূপক অর্থে)— সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত মানুষের সৃষ্টি করার ক্ষমতা, যা একই সাথে একটি আশ্চর্যজনক ও মনোরম বিষয়।
“অবয়বে প্রজাপতি অনুনাদ” (রূপক অর্থে)— নৃত্যকলা।
“দেহের জমিনে ফোটে ফুল” (রূপক অর্থে)— বেশভূষাশৈলী বা ইংরেজিতে যাকে বলে ফ্যাশন (ফ্যাশন ডিজাইন)।
“সত্তার ধ্বনিত হাওয়া” (রূপক অর্থে)— যন্ত্রসংগীত।
“ভাবের স্মরণ পাখির গলায়” (রূপক অর্থে)— সঙ্গীত, এখানে গীত বা গান গাওয়া অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
“সভ্যতার আবাদ সমন্বয়ী বাগান” (রূপক অর্থে)— স্থাপত্যকলা।
“আলো-ছায়া গড়ন গঠন শুনিয়ে যায় প্রগাঢ় গল্প” (রূপক অর্থে)— ভাস্কর্য শিল্প।
“হাতের আদরে নকশা কেটে চিত্রপটে রামধনু খেলাঘর” (রূপক অর্থে)— চারুকলা ও নকশা শিল্প।
“জীবন বাঁধাই করে জীবন্ত আলোর ছাঁচে” (রূপক অর্থে)— চলচ্চিত্রগ্রহণশিল্প ও আলোকচিত্রশিল্প।
“শব্দে গেঁথে মন, ছন্দে বেঁধে প্রাণ : যুগল বেঁধে/কাগুজে পথে কলমের সাথে গাই জীবনের গান।” (রূপক অর্থে)— সাহিত্য; গদ্য-পদ্য উভয়।