একটু ভালো বাঁচবো বলে, কিছু সাধ মেটাতে চেয়ে বুঝি
জীবন পার করে দিয়েছি, কিছুটা সুখ কিনতে গিয়ে।
আহারের নামে ওষুধের নামে জীবন কিনেছি, নিজেকে বেচেছি;
বাজার শেষে ওবেলা দেখি সাধেরা শোভা পায় আরেক পাড়ায়।
দোয়া-দয়া মায়া-মান সব কিনে নাও, ওড়াও তোমার স্বপ্ন-সাধ ইচ্ছে ঘুড়ি;
চাইবোনা সুতো কেটে যাক, মুখখানা যেনো হেসে যাক।
পথে ঘাটে ময়দানে অন্দরে ‘আরো চাই, কিছু নাই’ বলে যাই এমনি করেই;
স্বীয় স্বর বাজে কানে, শুনতে পারি নাই অদূরে কতো আর্তি!
মায়েদের দুধ শুষে খায় অনাহার, ক্ষুধার্ত শিশুর চিৎকার শুনিনি;
থাকে কোনো ক্যাম্পে, যুদ্ধ পিষে মারে; নর-নারী হাহাকার করে ফেরে।
যখন কাগুজে পথে কলম কালিতে শোনাই জীবন-গাঁথা
তখন বাড়ির পাশের ওই বস্তিতে শৈশব বঞ্চিত শিশুর জীবন বিষাদ মাখা।
পেটের ক্ষুধিত পাকস্থলী আহার চাইছে পেটপুরে, রফিক আজাদের কবিতা আওড়ায়;
চোর-চাটুকার ডাকাত-দাম্ভিক, তোদের উপাদেয় উপাচার করবো!
ভাঙা স্বপন জীর্ণ জীবন, জঠরে জ্বলছে অনল;
প্রাণ নিভে গেলে আগুন জ্বালবো! সইতে পারবি তোরা, পোড়া ক্ষত?
“এটি মূল কবিতা ‘নিরুদ্দেশ জয়যাত্রা’ এর ১ম অংশ।”