রুমির কথা কি মনে পরে দুরন্ত ছেলেটা।
কোন ভুলে যে গেলো সেদিন শহরে প্রান্তরে।।
বাস্তবতা নির্মমতা কিছু মৌমাছি ধরেছে ঘিরে।
চাতক পাখি চেয়ে দেখে আসেনি কেউ পাশে।।
আঘাতের ব্যথা চিৎকার বাতাসে যায় ভেসে।
কাঁদেনি যে পাষণ্ড হৃদয় মানবতা কোথায়?
কি অপরাধ গোলকধাঁধা অকারণে আঘাতে।
শিয়াল শকুন যে খাচ্ছে রক্ত মাংসের দেহ।।
শরীরটা যে ক্ষত বিক্ষত লাল রঙ্গে খেলা।
দাঁড়িয়ে থাকা জীব গুলো দেখে রঙ্গের মেলা।।
কোন কারণে নিথর দেহ মাটিতে লুঠে গেল।
রহস্য ঘুরপাক খায় যে কাগজরে পাতায়।।
খবরে শিরোনামে নিরুদ্দেশ রুমি কোথায়।
দেহটা পরে আছে মর্গে ঠিকানা হীন খাতায়।।
রহস্য খুঁজবে দেহ কেটে অজানা রিপোর্টে।
তান্ত্রিক কিছু তথ্য আসবে,সকালে কাগজে।।
মনে ভিতর প্রচণ্ড ব্যথা আসবে কি কাগজে?
সমাধান কোথায় জাতি কাগজে না মগজে।।
যে টুকু জানি পত্রিকায় রিপোর্টরে কারণে।
তাই ঋণী হয়ে যাই তোমার কাজে কর্মে।।
রুমি আবার ফিরে যায় তার পরিবারে।
সানাই বাজেনি তবে বেজে করুন সুরে।।
চোখে জলে আহাজারি বরণ করে তাকে।
মুখ টুকু দেখিয়েছে শুধু দেহটা যে ঢাকিয়ে।।
দু কাটা বসত বাড়ির উঠনে যায় ঘুমে।
সকাল বিকাল কথা হবে মা কাঁদবে নীরবে।।
বাবা বসে উঠানে তাকিয়ে ছেলে তার ঘুমিয়ে।
রোজ সকালে ডাকত তাকে পড়তে নামাযে।।
বাবা এখন কাকে ডাকবে নিবর যে নিয়তি।
ক্ষমতার কাছে যে বন্দি মগজহীন হয় জননী।।
কত রুমি যাবে আর গেছে কে রাখে কার কথা।
রুমি তুমিও হবে বিচারহীন আমাদের ব্যর্থতা।।