এই শহরে সন্ধা নামে হয় গভীর রাত।
কান্না গুলো পাথর হয়ে করছে ভীষণ ঘাত।।
স্বপ্ন গুলো ছুটছে যেনো উল্কার মত গতি।
নিদ্রা হীন আমি রাতে চাদঁ তারা সঙ্গী।।
সকাল হলে স্বপ্ন গুলো নেয় আবার ছুটি।
ক্লান্ত দিনে ভীরে না তো স্বপ্ন থাকে বন্দি।।
বাধান হারায় ছুটচ্ছি চলছি এই শহরে।
আমার ঠিকানা নাই কর্মহীন বেকার।।
নৈশ ভোজ শেষে আমি আশা গুলো খুঁজি।
রাস্তা পাশে ল্যাম্প পোস্টে স্বপ্ন গুলো মারি।।
নুতুন করে বাঁচতে শিখি বাস্তবতা মানি।
আমার নিয়তির জন্য আজ আমি দোষী।।
ইট পাথরে দেয়ালে বাড়ি বাতাস যে বন্দি।
নিংশ্বাসটা যে হচ্ছে ভারি দুষণ যে আমি।।
সূর্যটা যে যায় না দেখা পূর্ব আকাশে।
উপর তলা মানুষ গুলো নিচে কি নামে।।
ক্ষমতা আজ কুথিগস্ত বিদেশ দিচ্ছে পাড়ি।
দেশে ছেলে দেশে বসে দেখছে ভেলকি বাজি।।
সেই নীতিটা নীতিতে বসে করছে আহাজারি।
বলোনা শিক্ষিত জাতি আমরা কি পাপী।।
বুঝেনা তো সমাজ আমার বাস্তবতা সঙ্গি।
মনে মানুষ বুঝিয়েছে বিদায়ের সন্ধি।।
স্বপ্নগুলো ডুকরে কাঁদা বাস্তবতা বন্দি।
ফুটপাতে ঘুমিয়ে মানুষ তবু পায় শান্তি।।
জীবন যেনো একলা হল তুমি ফাঁকা আমি।
সব হিসাবে খাতার লেখা মিলেনা যে রীতি।।
ঐ খাতাটা শুন্য আছে অংকটা যে আমি।
সমাজ যে রীতি দিলে সেই নীতি তুমি।।
আমি বেকার বোঝা হয়ে দেখে সম্মানী।
অর্জিত কাগজের ব্যথা নীরবে কাঁদি।।
সমাজ দেশ আমার ঠেলে দেয় দুরে।
তবু আমি চলছি দেখ জীনব যুদ্ধে।।
পোড়া মাটি মত দেহ কষ্টে হয় খাঁটি।
স্বপ্ন গুলো বন্দি হবে কর্মে পথে আমি।।
হাজার কষ্টে মুখে হাসি এটাই পৃথিবী।
প্রতিকুলে মাঝে আমি সংগ্রাম করে চলি।।