গত ২৩ নভেম্বর ২০১৬ আমার এফবি হোমপেজ(দেওয়ালে)টাঁঙ্গানো দেখতে পেলাম "একটি বিজ্ঞাপন"(মৌসুমি সাহা'র কবিতার শিরোনাম)
"মন খারাপের ওষুধ ভাবো
কিম্বা খুশির ঢেউ
দিচ্ছি কথা ঠকবেন না
যুবক বৃদ্ধ কেউ...
...মৌসুমি সাহা।
ভীষণ চমৎকার বিজ্ঞাপন।এমন বিজ্ঞাপনী যে কারো চোখে পড়লেই চমকে ওঠার কথা..আমার ও চমক লাগলো..কে এই বিদুষীনী "মৌসুমি সাহা?..বিজ্ঞাপনের আরো গভীরে গিয়ে দেখলামঃ
সন্তান সম কবিতা আমার
পারিনা বেচতে তাকে
মাতৃসম কবিরা তাকে
এমন ভাবেই রাখে...
সুতরাং জানাগেল তিনি কবি।তাঁর লেখা কবিতা তাঁর সন্তানের মতো।অস্বীকারের উপায় নেই নিজের লেখা যে কোন লেখক কবির কাছেই সন্তানসম কবি মৌসুমি সাহা তার ব্যতিক্রম হবেন কেন? আসলে প্রসুতির প্রসব বেঁদনার চাইতে কবি লেখকের সৃজন বেঁদনা কোন অংশে কম নয়।
অতঃপর মৌসুমি আমাদের কে আরো জানাচ্ছেনঃতিনি কবিতা নামক মনখারাপের ঔষধ বিনামুল্যে বিতরণ করছেন।আমি তাঁর সঙ্গে একমত, যে জিনিসের মুল্য নির্ধারণ করা আজ পর্যন্ত কোন মনীষী'র দ্বারা সম্ভব হয়নি সে "অমুল্যধন" কারই বা সাধ্য আছে মুল্য দিয়ে কিনবার আর বেচবার? মৌসুমি সাহার-কবিতাকে মনখারাপের ওষুধ হিসাবে বিজ্ঞাপিত করবার এই চমকপ্রদ প্রয়াস দেখে আমার একটি কথা মনে পড়ছেঃজগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনষ্টাইনের বন্ধুত্ব ছিল আরেক জগদ্বিখ্যাত কবি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে।রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে একদিন আইনষ্টাইন বলেছিলেন"লোকে বলে রবীন্দ্রনাথ বড় কবি আর আমি বলি রবীন্দ্রনাথ বড় বিজ্ঞানী" আইনষ্টাইনের মতো বিজ্ঞানীর এমনটি মনে করবার কারন আছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানব মনের সামগ্রিক দিক স্পর্শ করে যে কবিতা ও সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন তাতে তাঁকে একজন মনোবিজ্ঞানী না ভেবে উপায় নেই, আর কবি যদি মনোরোগের চিকিৎসক হন তাহলে তো কবিতাই মানসিক বিমারের ওষুধ হতে বাধ্য।
আমাদের সর্বাত্মক কামনা শ্রীযুক্তা কবি মৌসুমি সাহার মানস কারখানায় মনখারাপের ধন্বন্তরি ঔষধ 'কবিতা'র" উৎপাদন হোক নিরন্তর।  শিশুবৃদ্ধ তরুণ তরুণী কিশোর কিশোরী সকলের মন ভাল হোক মৌসুমি'র কবিতা পাঠ করে।
আমরা এই কবিতার জননী'র সুস্বাস্থ্য ও সুদীর্ঘায়ু কামনা করি...যুগ যুগ জীও সুপ্রিয় কবি মৌসুমি সাহা।

কবি পরিচিতিঃ
মৌসুমী সাহা জন্ম ৫ ডিসেম্বর ১৯৭২ ইং ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন গৃহিণী এবং একমাত্র পুত্র শ্রীমান শৌভিক সাহার জননী।
স্বামী শ্রীযুক্তঃ প্রানসাহা।

আলোচকঃ
মোঃ সাদিকুর রহমান রুমেন।
কবি ও সমালোচক।
গ্রামঃ জামালপুর,থানাঃ জগন্নাথপুর, জেলাঃ সুনামগঞ্জ, বাংলাদেশ।
তাং ২৭ নভেম্বর ২০১৬ খ্রীঃ।