আসুন আমরা পৃথিবী নামক গ্রহপৃষ্টে একটি ভালবাসার রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করি।
সকল দেশের সীমান্ত থেকে, কাঁটাতারের বেড়াগুলো তুলে ফেলি।
সমগ্র বিশ্বের বুকে একটি মাত্র দেশের মানচিত্র আঁকি, যার নাম ভালোবাসা।
সে দেশের পতাকার আকার হবে মানুষের হৃদয়ের মতো।
আইন সভার নাম হবে ভালোবাসা ভবন।
সে দেশে পুলিশ ফাঁড়ি, সেনা ক্যাম্প, জেলখানা, অস্ত্র কারখানা থাকবেনা।
যুদ্ধবিগ্রহ ঝগড়া স্বার্থপরতা, নিষ্ঠুরতা
এসব নিষিদ্ধ হবে।
মামলা মোকদ্দমা, জমির দলিল দালালি প্রয়োজন হবেনা।
স্বর্ণ-রৌপ্য যাবতীয় ধাতব মুদ্রা ও কাগজের নোট ছাড়া
প্রয়োজনীয় লেনদেন হবে ভালোবাসার মুদ্রায়। সেন্ট্রাল ব্যাংককে বলা হবে ভালোবাসা
রিজার্ভ কোম্পানি।
স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র
পাঠ্যক্রম হবে প্রীতি সম্প্রীতি।
প্রাথমিক থেকে স্নাতক,
উচ্চ শিক্ষা সমাপ্তির সকল সনদে লেখা থাকবে সাম্যসম্প্রীতি।
কারখানা শিল্প বাণিজ্য কৃষি, স্বয়ংক্রিয় প্রেম-ভালোবাসার মেশিন দ্বারা পরিচালিত হবে।
ফুল ফসল শস্য শাকসবজি চাষ হবে ভালোবাসায়।
যাবতীয় পণ্যসম্ভার
ভালোবাসার কাঁচামাল
থেকে উৎপাদিত হবে।
আমদানি রপ্তানি সমস্যা সংকট এসব কিছুই থাকবেনা।
রাষ্ট্রীয় আয়কর মুল্য সংযোজন কর দেওয়া হবে ভালোবাসায়।
বিবাহ জন্মদিন উৎসব অনুষ্ঠান সব কিছু ভালবাসার সঙ্গে উদযাপন করা হবে।
বাড়িঘর, রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, নৌপথ, বাসস্ট্যান্ড রেলস্টেশন, বিমানবন্দর গুলো ভালোবাসার ইট পাথর সিমেন্টে তৈরি করা হবে।
যানজট, সড়ক রেল, নৌ- বিমান দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে ভালোবাসার মন্ত্রবলে।
সমাবেশ মিছিল মিটিং বক্তৃতায়, উচ্চারিত হবে ভালোবাসা ও প্রীতি সম্ভাষণ। খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও বিনোদন চর্চা হবে ভালোবাসায়।
হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা, ওষুধ ইনজেকশন
প্রেসক্রিপশন ভালবাসার শব্দবাক্যে লেখা হবে।
মহামারী, রোগ, শোকের
প্রতিকার হবে প্রেমে।
দেশে বিরোধী দল থাকবেনা, ন্যায়নিষ্ট প্রেমিক প্রজাতন্ত্রে সরকারের প্রশাসনিক ক্ষমতায় থাকবেন প্রেম ধর্মে দীক্ষিত প্রেমিক মানুষ।
*পরিবর্তিত সংস্করণ
বাংলাদেশ 🇧🇩
তারিখ: 13102023