কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আর
সাভারের স্মৃতিসৌধ
আপন দুই ভগিনি,
দুজনেই আগ্নিগর্ভা
বাঙলা মায়ের ঝি,
দুধের গুনে যেমন ঘি
মায়ের গুনে তেমন ঝি!
তাই এই দুই ভগিনি ও তাদের মায়েরি মত
অগ্নিগর্ভা!
দু'জনেই অজস্র বিপ্লবী
আর লাখো মুক্তিযোদ্ধার
প্রসুতি!

বঙ্গ জননী ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি
(৮ ই ফাল্গুন)
তার বড়কন্যা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
প্রসব করেন!
তার ১৯ বছর পর ১৯৭১সালের ২৬ মার্চ
তার জঠর থেকে ভুমিষ্ট হয়
ছোট কন্যা কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ।
ছোঠ হওয়ায় এটি
মায়ের আদর ও বেশী পায়।
এতে বড়বোনের কোন
অনুযোগ অভিমান ও নেই।
তিনি বড় আদরের চোখে দেখেন
ছোট ভগ্নিটিকে!

বড় কন্যাটির জন্মের আগে
বঙ্গ জননীকে বাধ্য ও নিরুপায়ের মত
উর্দু ভাষায় কথা
বলতে হতো!
কিন্তু এই সরলা গৃহস্থ কন্যার উপর
জোড় করে চাঁপিয়ে দেওয়া এই দুর্বৃত্ত
রাজ ভাষাটি তার
বড় না পছন্দ ছিল।
বড় কন্যা'র জন্মের পর তার এই
মর্ম যাতনার অবসান হয়।
কিন্তু এই জন্মের ইতিহাস বড় রক্তাক্ত করুন!একের জন্ম,অজস্রের মৃত্যু!
উপলক্ষ মাতৃভাষায়
কথা বলার অধিকার আদায়ে শাহাদাত বরণ।

শাহাদাত্ বরণ কারী
কয়েকজনের নাম
আমরা জানি,
তারা ঢাকা য়্যুনিভার্সিটির তরুন
ছাত্র-
সালাম,বরকত ,রফিক,জব্বার!
আরো অনেকেই ছিলেন
যাদের নাম আমরা জানতে পারিনি!
এই মৃত্যু এবং জন্মের অনুষ্টানের
মধ্যদিয়ে
শহীদেরা পেলেন
অমরত্বের মহান সনদ!
বাঙ্গালী পেল
বাঙলা ভাষার
সোনালী বর্ণমালায়
লেখা ঝলমলে বাল্যশিক্ষা।

এদেশে চিরতরে উর্দু
ভাষায় বাক্যালাপ বন্ধ হল।
বাংলা মা তার
নিজের ভাষায় নির্ভয়ে
কথা বলতে শুরু করলেন।
জন্ম মৃত্যুর এই করুন মধুর ক্ষনটিকে
বিশ্ববাসীর বড় পছন্দ হল,তারা এই দিনটিকে,
অন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
পালনের জন্য বেছে নিলেন।
আমরা এজন্য সমগ্র
বিশ্ববাসীর কাছে
কী যে কৃতজ্ঞ!তা প্রকাশের ভাষা
এই নগন্যের
জানা নেই।

কিন্তু বিশ্ববাসীর
এই মহান স্বীকৃতিই প্রমান করে
আমরা ন্যায় দাবীর
পক্ষে প্রানদান
করেছিলাম।
আর যারা আমাদের
তাজা প্রান গুলি হরন করেছে তা কী মারাত্বক অন্যায় ছিল?
তাই আজ আমরা বিশ্ববাসীর কাছে
আমাদের প্রান দানের গর্বে গরীয়ান,
আর আমাদের আততায়ী,
প্রান হরনের লজ্জায়
ম্রিয়মান।
এমনটা'ই হয় খাঁটি
প্রেম এবং ন্যায়ের আত্মত্যাগ,
তার যোগ্য মর্যাদা
একদিন পায়।

মজলুমের সামনে
জুলুম একদিন নতশির হয়।
এক্ষনে সমবেত
সকলেই সম্ভবতঃ
ছোট ভগিনির জন্ম বৃত্তান্ত জানতে
কৌতুহলী রয়েছেন?
সেকথা ২৬ মার্চে
তার জন্মদিনে বলার
আশা রাখি।

তারিখ:১০/০২/২০২০ খ্রীঃ