কল্পতরু

কল্পতরু
কবি
প্রকাশনী অনন্য প্রকাশন
প্রচ্ছদ শিল্পী পলক রায়
স্বত্ব রেজনা বেগম
প্রথম প্রকাশ অগাস্ট ২০২৩
বিক্রয় মূল্য ৪০০ টাকা মাত্র
বইটি কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

কল্পতরু কবিতার বই।
এখানে কবি নিজস্ব ধর্মবোধ জীবনবোধ ও দেশাত্মবোধক কবিতার পাশাপাশি প্রেম নিসর্গ প্রকৃতি ও রোমান্টিক কবিসত্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
এছাড়া শোষিত বঞ্চিত দরিদ্র মানুষের পক্ষে, ন্যায় নৈতিকতার কথা। সাম্যমৈত্রী নারী পুরুষ সমতার কথা,মানুষে মানুষে মিল মহব্বত,মায়া মমতার কথা বলেছেন।

বইটি সংগ্রহের জন্য অনলাইনে লিংকের পাশাপাশি কবির সঙ্গে যোগাযোগের- সেলফোন: ০১৭১৫৩৮৮৫৫৯

ভূমিকা

‌পূর্বলেখ

শুরু আল্লাহর নামে যিনি সীমাহীন মেহেরবান পরম দয়ালু।
যিনি লেখার জন্য কলম সৃষ্টি, দেখার জন্য উদ্ভাসিত করেছেন আলো। তাঁর চরণে সকল প্রশংসা স্তুতি কৃতজ্ঞতা ও ভক্তিসহ মাথা করলাম নত, যার দয়াগুণে আমার কলম থেকে 'কল্পতরু' কাব্যগ্রন্থ হয়েছে রচিত।
সীমাহীন দুরুদ সালাম নবিজীর মোবারক কদমে করলাম পেশ,
আল্লাহর দরবারে যার শান শওকত মর্যাদার নেই কোন শেষ।

ছোটবেলায় বর্ণশিক্ষা লাভের পরই আমি যেকোন বইপুস্তক পত্র-পত্রিকা হাতের নাগালে পেলে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তাম। আমার বাবার ছিল মুদির দোকান, বিভিন্ন জিনিস পত্র মোড়ক বেঁধে দেওয়ার জন্য পুরনো বইপত্র, পত্রিকা, সের দরে আব্বা কিনে আনতেন। আমি এর থেকে বেঁছে বেঁছে পড়বার জন্য কিছু বইপত্র রেখে দিতাম। কিছু বড় হয়ে নিয়মিত পত্রপত্রিকা ও পড়তাম। এই বিশেষ অভ্যাসের চাক্ষুষ দর্শক ছিল আমার দু- তিন বছরের ছোট এক মামাতো ভাই আবু আহমদ খান ইকবাল। (বর্তমানে বৃটেন প্রবাসী) সে আমাকে খবি (কবি) ভাই বলে ডাকতো, এতে আমার ঈষৎ লজ্জাবোধ হতো; তথাপি আমি এই অভ্যাস ছাড়তে পারিনি। ছেলেমানুষি, খেলাধুলার আকর্ষণ তো ছিলই! এর মধ্যে গভীর রাত্রি পর্যন্ত স্কুলের পড়াশোনার পাশাপাশি আমার বাড়তি আকর্ষণ ছিল গল্প, কবিতা, পুঁথি, উপন্যাস পড়া।
পড়তে পড়তে গোপনে গোপনে আমিও লিখতে শুরু করি, কিন্তু মন মতো লিখে উঠতে না পেরে আবার ছিঁড়েও ফেলতাম। এভাবে লিখে পড়ে, ছিঁড়ে দিনের পর রাত কাটতো আর খাতাপত্রের শ্রাদ্ধ-শান্তি হতো নির্বিচারে।
এরপর ২০০০ সালে যুগান্তর পত্রিকা আত্মপ্রকাশ করলে প্রতি বুধবার প্রকাশিত হতো সাহিত্য আমেজের ফিচার পাতা ‘স্বজন সমাবেশ সেখানে একবার নবীন লেখকদের লেখার বিষয় দেয়া হলো 'অন্ধকারের আমি' এই শিরোনামের গর্ভে বিষয় ভিত্তিক লেখা আহ্বান করা হলো, আমি সাহস করে কয়েক ছত্র না পদ্য না গদ্য পাঠিয়ে দিলাম পত্রিকার ঠিকানায়। আমাকে অবাক করে দিয়ে যথারীতি আমার লেখা ছাপা হলো, এরপর আরেক কিস্তির বিষয়: ‘আমার আছে জল' এবারও লেখা পাঠিয়ে নিরাশ হইনি, লেখা ছাপা হলো। অতঃপর এ বছরই স্নেহাশিস আবু ইউসুফ খান রাজিব ও আমার যৌথ সম্পাদনায় বেরুলো লিটলম্যাগ 'দৃষ্টি' সেখানে আমি লিখলাম ছড়াপদ্য ‘হাসনাহেনা' কিছু প্রশংসা পেলাম, সেই থেকে শুরু! আজ অবধি কাগজে কলম ঠুকছি, তার কিছু অংশ মুদ্রণ যন্ত্রের যন্ত্রণা ভোগ করে পাঠকের চক্ষুশূল হয়েছে অবশেষে। আর হাল আমলের চাল মত, টাচ ফোনের বুকে আঙ্গুল চেপে বাক্য স্ফুরণ-বিস্ফোরণ করছি। অনলাইনের উছিলায় প্রকাশ পদ্ধতিও অবারিত!! লিখো আর কপি করে পেস্ট করো ফেসবুকের বুক বরাবর।
তথাপি প্রায় তিন দশকের বিরামহীন চর্চায় খর্চা হয়েছে অনেক নির্ঘুম রাত্রি। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ব্যঙ্গ আর বিদ্রূপের তীর্যক আঘাত প্রত্যকে আর পরোক্ষে কমবেশি করেছি। হজম। মনে পড়ে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি, বাংলা ভাষার অন্যতম কবি আল মাহমুদ কে দেখতে যাই তাঁর বাসায়, এবং কবিকে নিয়ে লেখা আমার কবিতা 'কালের কলসে ভরা স্মৃতি' তাঁকে পড়ে শুনাতেই চোখের অসুখে প্রায়াঙ্গ বৃদ্ধ কবি আমার মাথায় হাত দিয়ে বলেন, বাবা এই প্রশংসাহীন সমাজে তোমাকে কেউ কবি বলবে না? তুমি লিখতে থাকো আর পড়তে থাকো, একদিন তুমি নিজেই আবিষ্কার করবে তুমি একজন কবি। আন্তরিক শ্রদ্ধায় স্মরণ করি মরহুম কবিকে।
অতঃপর তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের কথা আজ উহ্যই থাকুক, কিন্তু আমার কিঞ্চিত কম্প্র হস্ত সৃজনক্রিয়ার প্রশংসা যারা করেছেন, এ মুহূর্তে আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে তাদের জ্বলজ্বলে মুখ। এই লেখায় যদি তাদের নাম উল্লেখ না করি তবে আমার নাম উঠবে অকৃতজ্ঞতার দপ্তরে! আমি এই তকমাটি সইতে পারবো না। সুতরাং যাদের প্রশংসা আজও আমাকে কলম ধারণে সাহস যোগায় তাদের মধ্যে রয়েছেন- সত্তর দশকের শক্তিমান কবি গবেষক জনাব দীনুল ইসলাম বাবুল, কবি ও সুলেখক মরহুম গোলাম রব্বানী চৌধুরী, অধ্যাপক আহবাব খান, মোস্তাফিজ খান রূপা মামা, বিশিষ্ট লেখক গবেষক ম. আমিনুল হক চুন্নু মামা, এডিশনাল ডি আইজি সরদার তমিজ উদ্দিন স্যার, কবি আলাউদ্দিন আহমদ, শ্রদ্ধেয় কবি আবু কওছর স্যার ও কবি গবেষক জনাব আবু সাঈদ ওয়াজেদ লেবু স্যার। এছাড়া বাংলা কবিতার আসরের এডমিন বরেণ্য কবি কবির হুমায়ূন সাহেব, অগ্রজা কবি হাজেরা কোরেশী অপি, ভগ্নিতুল্য তাসলিমা সরকার পপি, কবি ফয়জুল মহি, কবি শহিদুজ্জামান চৌধুরী, কবি সফিনূর শাহ, দ্রোহী কবি সৈয়দ আজমল ভাই, শ্রদ্ধেয় বড় ভাই ফেরদৌস খান, কুদ্দুস খান, মওসুফ খান মুহিত, আবু বকর খান খসরু, বিজয় খান, মহিবুল ইসলাম খান, ও হাজি সোহেল আহমদ খান। টুনু ভাইসাব ।
স্নেহাশিস ছোট ভাই সুয়াইব খান, জাকির খান, আমির খান ছাব্বির, শাহিবুর রহমান কুহিনূর, বাবুল মিয়া, জাকারিয়া আহমদ, আঃ রব, রুনু, ফয়সল আহমদ, আলমগীর হোসেন। স্নেহাশিস ভগ্নি শিরিনা, মনিরা, আয়েশা, রুহেনা, রেনা, সায়লা, খালেদা, তামান্না, আলিমা, লিজা। স্নেহাশিস ভাগ্নে প্রভাষক সৈয়দ আয়েশ মিয়া (আমার অসংখ্য লেখা যার সম্পাদিত পত্র পত্রিকায় ছাপা হয়েছে), আব্দুল কাদির লেবু চাচা, বন্ধুবর মজলু ভাই ও মজনু ভাই, ক্বারী নজরুল ইসলাম খান, বন্ধুবর ইত্তেফাক খান, ডাঃ নিতাই বাবু, মুক্তিযোদ্ধা কবি সঞ্জব আলী, সাংবাদিক রেজাউল করিম ইয়াওর চাচা, তৌরিছ মাষ্টার চাচা, হরমান উদ্দিন মামা। স্নেহাশিস ভাতিজা লিয়াকত খান, হাসান খান, কবি লুৎফুর রহমান তারেক, কবি শফিকুল ইসলাম সোহাগ, কবি শাফিনূর রহমান, বরেণ্য আবৃত্তিকার ও বাংলাদেশ বেতার টেলিভিশনের ভাষ্যকার আসিফ নজরুল (যিনি আমার লেখা কবিতা আবৃত্তি করেছেন দরাজ কণ্ঠে), বন্ধুবর কবি নওয়ার আলী। ভারতের ঝাড়খণ্ডের কবি শ্রীমতি ঝুমা রায় ঝুমি, কবি বৃষ্টি মণ্ডল, কবি শারিকাশাহরিক, কবি খাদিজাতুল কোবরা, কবি ইয়াসমিন আপা, কবি ইন্দ্ৰানী বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি ইন্দ্ৰানী চ্যাটার্জি, চিত্রশিল্পী সুস্মিতা সেন প্রমূখ। সকলের নিকট আমি কৃতজ্ঞ।
সর্বোপরি শ্রদ্ধেয় মামা, বরেণ্য লেখক শিক্ষক ও সাংবাদিক শাহ আতিকুল হক কামালী যার উৎসাহ উদ্দীপনা আমাকে এই গ্রন্থ প্রকাশে উদ্যমী করেছে তাঁরই অর্থানুকূল্যে এই গ্রন্থ প্রকাশিত হলো। মামাকে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও গভীর কৃতজ্ঞতা।
এছাড়া ফেসবুকে আমার অগণিত বন্ধু-বান্ধব, বাংলা কবি ও কবিতার আসরের সতীর্থ অসংখ্য কবি সাহিত্যিক যাদের মুখ আমার মানসপটে উদিত হচ্ছে এই মুহূর্তে। কিন্তু লিখতে থাকলে ভূমিকা দীর্ঘতর হয়ে পাঠকের ধৈর্যচ্যুতির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তথাপি বাল্যসখা দীনুল ইসলাম খান সবুজ, আলমগীর খান সাজিদ, রুনু মিয়া, শাহ মো. জাহেদ মিয়া ও তোফাজ্জল হক রুবেল এর নাম না লিখে পারলাম না।
সর্বশেষ ফুলচন্দন পড়ুক স্নেহাশিস ভাই আবু আহমদ খান ইকবাল এর মুখে যে
বাল্য বয়সে আমার মনে কবি হওয়ার বাসনা উস্কে দিয়েছিল? জানি না আমি কবি হতে পেরেছি কী না? সে রায় দেবেন শ্রদ্ধেয় পাঠক সমাজ! যাদের হাতে আমি কুণ্ঠিত ও নম্র চিত্তে আমার প্রথম কবিতা প্রয়াস কল্পতরু তুলে দিচ্ছি আর অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যাবতীয় ভুলত্রুটির।

বিনত
সাদিকুর রহমান রুমেন
কবিতা কুটির,
মরিয়ম ও রাশিদ মঞ্জিল, জামালপুর।
শুক্রবার, পয়লা বৈশাখ ১৪৩০ বাংলা।

উৎসর্গ

শ্রদ্ধেয় বড় নানা মরহুম আবুল হাশিম খান রহঃ বি এ, বিটি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক, ষড়পল্লী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (তিনি আমার আম্মার মাতুল) খুব ছোটকালে পিতৃহীন আমার মাকে যিনি কন্যাতুল্য স্নেহে লালন পালন করেছেন। এছাড়া আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি-
জনাব নুর উদ্দিন আহমদ, মো. সমরু মিয়া, গোলাম মোস্তফা, এনামুল হক, উমাপদ বাবু, অজিত চন্দ্র, ক্বারি আব্দুস সালাম, মৌলভী ছাইম উল্যা, আরজু মিয়া মাস্টার, কবি আবু কওছর ও কবি গবেষক জনাব আবু সাঈদ ওয়াজেদ লেবু প্রমূখ