আর কত?জগৎ প্লাবিত দ্বেষ করিয়া,
মনুষ্যত্ব হায়রে মনুষ্যত্ব!
চোক্ষু বুঝিয়া ভূবন ভুলিয়া যেতে চাহি মন চাহে অন্তকালে।
সর্বতরে,সর্বকূলে নাহি কভু শান্তির বাণী!
আর কত?সময় মারছে বারংবার পেটে লাথি!
দিন-রজনী কাঁদছে মোর আঁখি,ভূবন ভূপতীর তান্ডব মোর মন তব লুন্ঠিত, লুন্ঠিত মোর চোক্ষুদ্বয়।
দ্যাখ দ্যাখ ওরে ও ভূবন পাগলা তোর চোক্ষুদ্বয় খুলিয়া প্রাচীর ভেদিয়া চাহিয়া তব দ্যাখ কতই না হাহাকার।
চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অগনিত মূর্ত আর্তনাদ!
মুখ ভ্যাঁচকে,নাক ছিটকে,ভূরু কুঁচকে ঘার মটকে প্রজার রক্ত চুষে ভূপতী ভূপতী সন্ধি।
প্রজায় প্রজায় বক্ষে বাঁধিয়ে অশ্ম তান্ডবের তলে আজি সর্বস্ব বন্দি।
কর্পোরেট কার্পেটে পা মুড়িয়ে রটে বেড়ায় কৃষক আমার ভাই,
সর্বহারার বাঁক দেখি বাঘ সেজে বসে থাকে।
হুলোবেড়ালের ঝাঁক দেখি কৃপন আলোয় স্বপ্ন দেখায়।
হা!হা!হা! পায় যে অট্ট হাসি!
পঙ্গু কে?ইশ্বর নাকি ভূবনের ছলাকলা?
ভূবনেরর ছলাকলা ভুলিয়া গগনে নয়নযুগল মেলিয়া,
মোর কর্ণপাতে অগনিত ক্রঁদনের আধ্বানে মুমূর্ষু হয়ে মৃত্তিকা কামড়ে হামাগুড়ি খাচ্ছি সর্বক্ষনে।
মোর আপাদমস্তক লুটে খায় শত শত বিদ্রোহী কবিতার স্তুপ।
পাগলা ভোলার অট্ট হাসিতে কপলে পরে যায় টোল,
ললাটে সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে আর্তনাদের ভানু।
হা!হা!হা!হাসিবে মোর বাহ্যিক রূপ তাহার অগোচরে কাঁদিবে মোর অন্তস্থ রূপ।
ঘু্ঁচিবে কি কভু ব্যথা?মরেছি, মরছি,মরবো,মরনের অতলে শান্তি আছে যেথা!