শান্ত নদীর তীরে বসে আছি একাগ্রচিত্তে,
দূরের পানে চোখ মিলিয়ে যাচ্ছি আমি অজানাতে হারিয়ে।
নিস্তব্ধ রজনীর মায়া ডাকছে আমায় চুপিসারে।
ডিঙ্গি নৌকার নিভো নিভো আলো,
দৃষ্টিকে করছে পুলকিত অনবরত।
ইচ্ছে ডানার ইশতিহারে মন চায় উড়ি গগনতলে,
চাঁদের আলোয় আলোকিত করব আমার তনু-মন।
হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসবো আমি স্পৃহা যতক্ষন।
ছন্দে ছন্দে লিখব আমি অজস্র কবিতা,
যার ঠাসা ঠাসা অক্ষরে খুঁজে পাব প্রকৃতির ছবিটা
কবিতা লিখার ইচ্ছাটা জাগিয়েছে স্বয়ং বিধাতা।
প্রভাত ফেরার আগে আমি যাব না'কো ঘরে,
রাত্রি যদি কেটে যায় লিখার ছন্দে ক্ষতি নেই কোনো তাতে,
ভাবছি আমি লিখছি আমি নানান ছন্দের তালে,
নদীর পানে তাকিয়ে মোর শান্তি মিলছে চিত্তের অতলে।
ওপারের ঐ তীর ঘেষে গাছ-গাছালির দৃশ্য দেখে,
ভরছে যে মন আনন্দের মুখরিত সুখে।
দূরের ঐ গাছ-গাছালি দৈত্যের মতো ইশারাতে,
ডাকছে আমায় তাহার সন্নিকটে।
চাঁদ যদি বা ঢেকে যায় কালো মেঘের অন্তরালে,
সুখ আমি খুঁজেই নিব প্রকৃতির খেয়ালে।
পিছন থেকেই ডাক পরে যদি মোর যাবার তরে,
বলব আমি মৃদু হেঁসে প্রকৃতির সুখ পাবো কি তবে ফিরে গেলে?
হঠাৎ যদি নুপুর পায়ে কোনো সুদর্শনা রমনী বসে আমার পাশটাতে,
নানান ছলে তার সাথে গল্পের আসর বসাবো এই নদীর তীরে।
প্রকৃতির মায়া বড্ড মায়া লাগছে ভীষন ভালো,
অশান্তির সকল বেড়াজাল থেকে মুক্তি আমায় দিল।

উৎসর্গ:-স্মৃতি(কবির প্রকৃতি)