দিবসের অবসান,রজনী আগমনের মাহেন্দ্রক্ষণটিতে ধরা যেন মিলন-বিরহে পুলকিত হয়ে ওঠে।
গগনে অস্তায়মান লাল রবিটাও গোধূলির কথন ব্যক্ত করে।
এই ক্ষনে কবি বড্ড অভিলাষ নিয়ে ছন্দের পাতন ঘটায়।
সর্বক্ষনে কোলাহল স্তব্ধ হয়ে যায়,
ধেয়ে আসে অন্যরকম এক প্রশান্তির ছোঁয়া।
পশু-পাখি নীড়ে ফিরে দলে দলে,
কৃষাণ-কৃষাণি কর্ম ব্যস্ততার অবসান ঘটিয়ে শ্রান্ত হয়ে ফিরে কুঠুরিকোণে।
চরাচরে সর্বত্র বিরাজ করে এক নৈসর্গিক নীরবতা
রবির রক্তিম আভার ছটায় প্রকৃতি সাজে নবসাজে।
গগন আর মৃত্তিকা যেন মুখোমুখি মৌনমুখর
মৌনতা ছড়িয়ে পরে বিস্তীর্ণ চরাচরে পর্বতে, অরণ্যে।
ছায়াঢাকা এই প্রকৃতির রুপ যেন ঘোমটা- টানা লাজুক নববধূর মতো,
কলস্বিনীবাণ ঘেষে পবন স্রোতের তালে উড়ে চলে গাঙচিল,বালিহাঁসের ঝাঁক
রবি যেন ধরার বিষাদের সুর কর্ণপাতে মশগুল।
এ যেন এক অমীয় রুপলিলায় মগ্ন ধরাকুল,
দূর-দূরন্তে অবলোকনে মনে হয় কিশোরী মেয়েটি লাল-হলুদ ডুরে শাড়ি কোমরে পেঁচিয়ে হেঁটে চলে আপনচিত্তে।
প্রকৃতির প্রেমে পড়ে কবি ছুঁতে চায় ঐ আলোছায়ার বিচিত্র লুকোচুরি,
প্রকৃতি তার আপনঘরে আবদ্ধ,তাইতো দূর থেকে তাকে ভালোসাটাই শ্রেয়।
উৎসর্গ :-স্মৃতি(কবির দেয়া নাম প্রকৃতি)