এই যে শুনছো তোমাকে বলছি!
রজনীর আধারকে আলোকিত করে কিসের সুভাস ছড়াচ্ছো?
কন্ঠে সবটুকু হাহাকার মিশিয়ে তবে কিসের বানী শুনাচ্ছো?
এই যে শুনছো তোমাকে বলছি!
আলু-থালু কেশ গগনে উড়িয়ে,
কঙ্কণ ভরা হাতে ডাকছো তব কাকে?
অবাক বিস্ময়ে নয়নযুগল সুনীল গগনপানে গুঁজে খুঁজছো কি সেই নাম?
এই যে শুনছো তোমাকে বলছি!
কন্ঠে তোমার রাশি রাশি শিউলী বকুল,অনুপম অমিয়সুধা অতুল।
শুকনো পাতার নুপুরে ঝুমুর ঝুমুর আধ্বানে হেঁটে যাচ্ছো কোন সুদূরে?
এই যে শুনছো তোমাকে বলছি!
গোল রন্ধ্রে নাঁচিছে মোর শত দলের আল্পনা,
সবুজ ঘাসে ভিছিয়ে রেখেছি তোমার দরুন শত কল্পনা।
নীল শাড়িটা পরবে বলে বনে বনে সাজিছে নব ফুলের সমাহার,
তোমার নোটন খোঁপায় বেলী ফুল পরাবো বলে দাড়িয়ে আছি সেই চিরচেনা বটবৃক্ষের তলে।
এই যে শুনছো তোমাকে বলছি!
তুমি আমার কবিতা,স্বপ্নে দেখা অর্পিতা।
ঝুলন্ত চাঁদের গায়ে লিখেছি মায়াবতীর নাম,
মায়বতী ওগো মোর মায়াবতী ভালো থেকো তুমি সর্বক্ষন।