আমি বৈশ্বানর জ্বালিব নবরূপে,
কালবৈশাখী ঝড় হয়ে আসিবো বহুরূপে।
পথশিশুর ক্লেশ চোখে,
বারিস্রোত কেউ কি দেখে?
ওরে ও জগন্ময় তোমার বিধান নানারূপী,
বিশংপতীর মুখে দিয়াছো শান্তির হাসি,
প্রজার গলায় পড়িয়াছো মরণ ফাঁসি।
আমি প্রভাতফেরির ফেরিওয়ালা
ঘুরছি হয়ে ছন্নছাড়া।
আমি অমাবস্যার এক তিমির নক্ত,
জীবনরেখার গতিতে সব হারিয়ে ক্ষত-বিক্ষত।
আমি জলনাতে কল্লোল তুলে,
আসবো সকল অশান্তি ভুলে।
পথশিশুর ঐ চিক্কুর আধ্বানে,
দিবস-যামিনী উন্মাদ হয়ে আমার চিত্ত কাঁদে।
ওরে ও ঔষ্ণীক বাবু কিসের এত অহমিকা?
ধ্বংস হবে রে তোর হিরণ কামরা।
প্রজার বক্ষে চেপে রে তোর শির তোলা,
ওরে ও জগন্ময় বসে আছো কোন যন্ত্রে,
চক্ষু তোমার রাখিয়াছো কোন মন্ত্রে?
পেরেক তবে ঠুকে দাও ওদের ওই ষড়যন্ত্রে।