আমি একটি নদী খুঁজেছিলাম,
শান্ত করে শীতল নদী৷৷
যার তীর ঘেঁষে বসে কবিতা লিখতে পারবো।
যার বুক ছিড়ে উঠবে না কোন প্রবল কল্লোল,
যে হবে আমার সুহৃদ কথা গাঁথুনী ৷৷
আমি একটা নদী খুঁজেছিলাম,
অটল সুখস্রোতবাহী নদী৷৷
নদীর পাশ দিয়ে মাঠ-ঘাট,পল্লী প্রান্তর।
নেত্র জুড়ানো সবুজের নিলিমা,
সারি সারি বিটপীর সমারোহ,
ডালে-ডালে বক-পক্ষীর মুখরিত কলোতান ৷৷
এমন একটা নদীর খোঁজ আমাকে ভীষণ কাঁদায়।
আমার চিত্তাআকাশে প্রতিক্ষার সুর টানায়।
সুরে সুরে সুরঞ্জিত করে আমার ভগ্ন কন্ঠ ৷৷
বহুকাল ধরে একটি স্বপ্ন পুষে যাচ্ছি!
শান্ত নদীর তীরে একটি আবাস গড়বো,
পুষ্পে পুষ্পে ভরপুর একটি বাগান করবো,
নিশীথ নিস্তব্ধতায় নদীর সনে কথা বলবো!
কাব্যিক কথা ৷৷
খুব বেশি তৃষ্ণার্ত হলে জলসুধা পান করবো,
মধ্য নিশায় শশী ঘুমকাতর হয়ে-
যখন নদীর বুকে মাথা হেলিয়ে দিবে,
তখন নদীটির মায়াময়ী রুপের মহিমায়-
আমাকে আমি মিলিয়ে নিব তার অতল গহ্বরে ৷৷
কোথায় পাব নদীটি?
কে দিবে তার খোঁজ?
আমি একাই খুঁজে নিব!
কিন্তু কিভাবে?
আমি যে বড্ড ক্লান্ত প্রায়!
উষ্ণ প্রভাতে, রবির হাসির ঢল,
সমীকরণ ছেঁদে নদীর বুকে দুলবে।
আমিও স্নানের বাহানায়,
দুলিয়ে নিব আমার গা সব ৷৷
কবে পাব তার খোঁজ?
সমস্ত দিবা-নিশি আমি তাকে খুঁজি,
ছন্নছাড়া উথাল-পাতাল হয়ে খুঁজি!
নদীটি যে আমার খুব বেশি প্রয়োজন ৷৷
কোনদিন খোঁজ পেলে তার,
খুব বেশি বকে দিব তার কর্ণপাতে।
প্রতিক্ষায় রইলাম, আছি বটে আর থাকবই তো শেষে!
যার তটে সারি সারি ডিঙ্গি নয়,
আমিই যে তার মনোরম ডিঙ্গি হব!
সে যে একান্তই আমার হবে ৷৷