ওৎ ছিলো তো নাকি সেটা নাগালের বাহিরে??
নড়ীতে যদি কিছু কাচের কাঁকন দিয়ে বলতাম একটু নিজেকে সজ্জিত করে নাও, তবে তা সম্ভব ছিলো কি??
দু'চারটা বাক্য তো লিখতে পারতে?
কলমের ডগায় কতই না কথা শান্তনা ছিলো তবে আমার জন্য দু'চারটা বাক্য লিখাটা তো দুষ্কর কিছু ছিলো না!
কদমফুল দিয়েছিলাম তোমার নোটন খোঁপায় বাঁধবে বলে,পিষ্টে দিয়েছো!শান্তি পেয়েছো তো?
কৃষ্ণবর্ন অভ্রপানে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ভাবছি বলে মুচকি হাসিতে নিজেকে আলাদা করে নিচ্ছো।খেয়ালি মনটাকে বেখেয়ালি করে রাখছো!
একটু তো পারতে এগোতে?
আর একটু এগোলেই চোখে জল গড়িয়ে আসতো
ভেতরের চৌকাঠ ডিঙিয়ে ভিজতো নদী, গলতো পাথর।
আরেকটু এগোলেই কবিতার রংধনু মেঘ বেয়ে ভেসে যেতো পূর্ব হরিদ্বার।
কৌটোর ভেতরে মল্লারের চাবির গোছা,মহুয়ায় আসক্ত বৃষ্টির চারাগাছ ভ্রুণ ধরে ওৎ করে থাকে
সন্ধ্যাময়।
গোটা দশেক মৌমাছির গলা মেলানোর দায়!
ক্রমেই ধুয়ে যাচ্ছে অঢেল আঁধার
ছিপছিপ বৃষ্টির ফোঁটার সাথে মিশে যাচ্ছে স্রোত,
আর একটু এগোলেই পর্বতের ঘুম ভেঙে যেতো
ভোরের আলগা হাওয়ায় রুদ্ধ হতো রাত।
রাতের লজ্জায় দিন পুড়ে যেতো বজ্রবাতাসে
আর একটু এগোলেই তোমার নিঃশ্বাস ছুঁতো হাত!
পুড়ে যেতো জীবনের অতীত অধ্যায়।
আর একটু এগোলেই বেহেশতি ফুলগুলো নত হতো।
আজন্ম কুমকুম মেখে দিত নীল গন্ধমের গায়ে
ভেতরের চৌকাঠ ডিঙিয়ে ভিজতো নদী, গলতো পাথর।।
তবে আর একটু এগোলে না কেনো ???