শহরের বুকের বোতামটা খুলতেই
চায়ের পেয়ালায় টুপ করে খসে পড়ল
এক তিক্ত শহরের পলেস্তারা।
আরও একবার
কৃষ্ণ-দশমী রজনী নগ্ন হল,
অন্ধকার চিরেছে কৃষ্ণচূড়ার রঙে,
সূর্যরথের চাকা ঘুরেছে সবেমাত্র,
মেকি নক্ষত্রেরাও মুখ লুকিয়েছে ঘুমের দেশে।
আলোর তীব্রতায় ঝর্নাটা কত উচ্ছল ছিল!
নিশিকালের বুভুক্ষা কেড়েছে আজ যমুনাবতীর আঁচল।
হায়নার আঁচড়ের নকশা আঁকা
এখন বিবস্ত্রা শরীর চেরা খাঁজে,
ঝোপঝাড় থেকে বয়ে চলেছে হিমরক্তের স্রোত।
সব উষ্ণতা ভুলে গিয়েছে মেয়েটা,
হিমঘর আজ নিরাপদ বড়।
ইউটোপিয়া থেকে সিঁড়ি বেয়ে আজও
কিছু শ্বাপদের দল নেমে আসে মহানগরীর রাজপথে।