এই সমাজে এখন ধর্ষকদের জয়-জয়কার,
তাদের অট্ট হাসিতে ধরণী কম্পিত,
তাদের ধর্ষণের পাশবিক নৃত্য চলে
রাতের অন্ধকার ছাড়িয়ে দিনে,
লোক চক্ষুর আড়ালে;
কখনো বা সবাইকে জিম্মি করে
জনসম্মুখে!
তাদেরকে ধরার কেউ নেই,
তাদেরকে বাধা দেবার কেউ নেই,
ধরলে, বাধা দিলেও
তাদের কাছে আছে আলাদিনের চেরাগ!
সে চেরাগ ঘষলেই দৈত‍্য বের হয়ে আসে,,
সেই দৈত‍্যের উসিলাতে ছাড় পেয়ে যায় অমুক ভাই তমুক ভাই!
তারা জানে--
তাদের তেমন কিছুই হবে না!

এই সমাজে এখন ধর্ষকদের জয়-জয়কার
পুরো রাষ্ট্র আজ তাদের হাতে জিম্মি!
হে রাষ্ট্র আর কত ঘুমিয়ে থাকবে?
আর কত নিস্পৃহ থাকবে?
জেগে ওঠো! জেগে ওঠেো!
তোমাকে যে জেগে উঠতেই হবে!
তুমি না জাগলে যে সম্ভ্রম হারা মায়ের
চোখের অশ্রুর শেষ হবে না।

হে রাষ্ট্র --
ভুলে গেলে চলবে না,
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর-
অন‍্যায়,অত‍্যাচার আর জুলুমের প্রতি
অসহনশীল ভুমিকার কথা।
আবারো বলছি--
তুমি কঠোর হও,
কঠোর কর রাষ্ট্র নীতি!
আজ বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে একটিই প্রশ্ন-
এমন সোনার বাংলাই কি চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু ?
বঙ্গবন্ধু তো ধর্ষণের পাশবিক নৃত্য চলার জন্য স্বাধীনতার ডাক দেয় নি!
তাহলে আজও কেন মুজিব বর্ষে পদার্পণ করেও
বাংলার নারীকে হতে হয় নির্যাতিত, হতে হয় লাঞ্চিত?
হে রাষ্ট্র ---
পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যেভাবে তুমি গর্জে উঠেছিলে ;
আবারো যে তোমাকে গর্জে উঠতে হবে!
তোমাকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে পশুর চেয়েও নি‍কষ্ট মানুষের মতো দেখতে অমানুষদের!
সর্বোচ্চ শাস্তি-- জনসম্মুখে ম‍‍ৃত‍্যদণ্ডের বিধান করে।
হে রাষ্ট্র --
জন্মভূমি যদি মা হয়,
তবে তোমার সে মা যে আজ পদে পদে সম্ভ্রম হারাচ্ছে,হারাচ্ছে বেঁচে থাকার অভিলাষ;
জীবনের তিক্ত,কালো অভিজ্ঞতার স্রোতে।

এই সমাজে এখন ধর্ষকদের জয়-জয়কার,
নারীর সম্ভ্রম হারানো এ যেন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার।
চারিদিকে ধর্ষণের প্রতিধ্বনি শুনে
ক'দিন আগে মুখে বুলি ফুটেছে এমন শিশুও
মাকে জিজ্ঞেস করে বসে,,,
"মা মা!
ধর্ষণ কী???"
শিশুর প্রশ্নে মা অবাক হয়ে যায়!
মুহূর্তেই অজানা এক শঙ্কা মনের মধ্যে ভর করে;
মনে মনে বলে,"মা রে,আমি কি পারবো তোর জন্য একটা সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে?
আমি কি পারবো তোর জীবন চলার পথটাকে মসৃণ করতে?
আমার একার পক্ষে যে তা সম্ভব না রে,,
বাসা থেকে বের হতেও যে ভয় লাগে রে;
ভীষণ ভয় লাগে দরজা খুলতে,
নরপিশাচরা যে এখন সবখানে উঁকি দিয়ে থাকে রে,,"
এই সমাজে এখন ধর্ষকদের জয়-জয়কার,
তাইতো--
খবরের কাগজ, নিউজ চ্যানেলের ব্রেকিং নিউজ,ফেইস বুক পেইজ,ইউটিউব চ‍্যানেল ভরে গেছে ধর্ষণের খবরে।
ছোট শিশু,যুবতী এমনকি বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া বৃদ্ধাও পাচ্ছে না রেহাই,
এ কেমন বিকৃত মন মানসিকতা!
এ কেমন লোলুপ,বিকৃত জীবন দর্শন।
এ কেমন পৈশাচিক আনন্দ মায়ের সম্ভ্রম ছিনিয়ে নিয়ে?

এই সমাজে এখন ধর্ষকদের জয়-জয়কার,
এই সমাজে নারীরা কোথাও নিরাপদ নয়,
সময়টা এমন হয়ে গেছে যে এখানে নিজের বাবার সামনে মেয়ের ওপর চলে পাশবিক নির্যাতন,
নিজের স্বামীর সামনে চলে স্ত্রীর ওপর নির্যাতন।
নিজের ভাইয়ের সামনে চলে বোনের ওপর নির্যাতন।
প্রতিদিন খবরের কাগজ
খুললে চোখে পড়ে ধর্ষিতার আহাজারি আর অন্যপাশে ধর্ষকের অট্ট হাসি।
হাসবেই না কেন??
ওরাতো জানে ওদের তেমন কিছুই হবে না...
ধর্ষক,সেতো এখন দর্শক!
সে দর্শকের সারিতে বসে
তার ধর্ষণ করার জন‍্য উন্মত্ততা দেখতে ব‍্যস্ত!!!