হে অবুঝ কন্যা--
মাাটির মানুষ আমি,
মাটিতেই মিশিয়া হইব একাকার,
মাঝে কিছুটা সময় হোউক না তোমার আর আমার!
পরের ধনের দিকে চক্ষু মেলিয়া
কী লাভ হইবে হে ললনা?
আমায় কী একটু বলিতে পারিবে? বলনা...
পাশের বাসার ভাবীর বরের --
আছে কাড়ি কাড়ি টাকা!
আমার নাই তাহা!
অমুক ভাই এই,তমুক ভাই সেই--
সুনাম করিয়া করিয়া মুখে তোলোর ফ্যানা!
তোমার মুখের সুনাম শুনিয়া শুনিয়া
নিজেকে মনে হয় থ্যানা!
আমাকে বিবাহ করিয়া নাকি তুমি -
সুখ আহ্লাদ দিয়াছো জলাঞ্জলি!
রোগ -শোক না কি বাঁধিয়াছে বাসা,
আমারি সংসারের ঘানি টানিয়া টানিয়া!
অভিযোগের পর অভিযোগ,
হে অবুঝ কন্যা!
অভিযোগের লিস্টটা একটু -
লুকিয়ে ফেলা কী যায় না!
তোমায় কত্তো ভালোবাসি,
মমতার চাদরে জড়ায়ে রাখি,
অন্নের খোঁজে ছুটি রাত বিরাত!
তারপরো তুমি ---
আমায় কহ অপদার্থ!
আমি না কি কিচ্ছু জানি না,,
আমায় দিয়ে না কি কিচ্ছু হবে না!
বিয়ে করে না কি কিচ্ছু পেলে না!
আমি না কি --
কোন কাজের পুরুষ না!
হে অবুঝ কন্যা--
রেস্টুরেন্টে খাইতে না পারিলে,
সপ্তাহে সপ্তাহে ঘুরিতে না পারিলে,
চালাও বুকে তীক্ষ্ণ ছরি খানা!
পান থেকে চুন কসিলেই,
মাঝে মাঝে হাতের মুঠোতে
নাড়াচাড়া কর ঝাঁটা খানা!
হে অবুঝ কন্যা--
বাজার সাজার একটু এদিক সেদিক হইলেই
মার তুমি খোটা!
অমুক ভাই, তমুক ভাই-
কত্তো ভালো আনে!
আমি না কি পঁচা আনি
সব্বি অাবর্জনা, কাজের কিচ্ছু না!
এত্তো মায়া, এত্তো সুনিবিড় ছায়া
কিছুই কী তোমার ভালো লাগে না?
ওগো জীবনের
একমাত্র আরাধনা!
হে অবুঝ কন্যা--
টাকাই যদি সব হইবে,,
বিয়েটা কেন করিয়াছিলে তবে?
দুবাইয়ের কোন ধনীর দুলাল দেখিয়া
ঝুলিয়া পড়িলে না কেন হে!
আমার কাছে দিয়ে ধরা,
ফেল করিলে কী হে ললনা?
আর করবে কতো তাল-বাহানা?
একটি বার বুঝিয়ে বলনা...
হে অবুঝ কন্যা--
আজ আছি কাল নাই,
ইহাই জগতের রীতি;
দুজনে দুজনকে ভালোবেসে
কম খাইয়া কম পরিয়া, দেইনা সময়টা কাটাইয়া!
হে অবুঝ কন্যা--
কেন সারাক্ষণ বাক যুদ্ধে লিপ্ত থাক হে!
আমি মানুষটাকে দাওনা একটু শান্তি হে!!!
ভালোবাসি, ভালোবাসি --এক্কেবারে সত্যি!
শুধু একবার কহ অমুক ভাই,তমুক ভাই
কিছুই না কিছুই না!
তুমি আমার শুরু, তুুুুমি আমার শেষ
তুমি না থাকিলে আমার হইতো সর্বনাশ!