চট্টলা যে উঠলো ফুঁসে ব্রিটিশ শাসন রুখবে বলে
বীর রজবের ডাকে সেদিন সিপাহী দল যুদ্ধে চলে
মুসলিম সেনা ছুড়লো গুলি; যুদ্ধ জানান দিতে
ছুটলো সবাই অস্ত্রাগারে অস্ত্র কেড়ে নিতে।

সৈনিক দল ভাঙলো তালা জেল খানাতে গিয়ে
আসলো ফিরে সংগ্রামীদের মুক্ত করে নিয়ে
অস্ত্রাগারে জ্বাললো আগুন; ছাই হলো সব পুড়ে
শঙ্কা দেখা দিয়েছিলো ইস্ট ইন্ডিয়া জুড়ে।

বঙ্গসিপাহী রজবের ভয়ে ইংরেজ দিশেহারা
শহর ছেড়ে সাগরে গিয়ে আত্মগোপনে তারা
জালিমরা সব জাহাজে যায় মাঝ সাগরের পরে
ব্রিটিশ শাসনমুক্ত ছিলো (চট্টলা) ত্রিশ ঘন্টা ধরে।

ব্রিটিশ বিরুদ্ধ আন্দোলনের সূচনা করে দিয়ে
সিপাহী রজব সামনে চলে সৈনিক দল নিয়ে।

জালিমরা সব জড়ো হলো ফেনী নদীর তীরে
রজব সেনা আসবে যখন রাখবে তাঁদের ঘিরে
দুর্ধর্ষী এ সেনা প্রধান সে খবরটা পেয়ে
অন্য পথে যাত্রা করেন বিশাল পাহাড় বেয়ে।
জায়গা জায়গা যুদ্ধ চলে মুসলিম শহীদ হন
বীর সিপাহী রজব আলী মাথা নোয়াবার নন

সাবাশপুরের চা বাগানে মুসলিম সেনা দল
গাদ্দার জমিদার চর চালে গাদ্দারী এক কল!

রসের হামলা হলো শুরু; সত্তুর শহীদ মুসলিম সেনা
রজব বাহীনির আত্মত্যাগ আজকে বলো জানে কে না!

যুদ্ধ শেষে তিনজন বাঁচে; চারজন হয়ে সাথী
গহীন জঙ্গল পাড়ি দেন; জ্বালিয়ে স্বাধীন বাতি।

মুছতে চাইলেও পারবেনা আর স্বীকৃতি দিতে হবে
বীর হাবিলদার রজব আলী খাঁ ইতিহাস হয়ে রবে।।


২৫ জুলাই ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
হাটোবেভি।