রাত্রি নিঝুম ভাবছি বসে কিশোর বেলার কথা,
উদ্দীপনায় হেসে খেলে কাটতো সময় যথা।
বিদ্যালয়ের পাশের গাছে ডাব ছিলো ভাই যতো,
দস্যিপনায় ডাব পেড়ে সব খেতাম মনের মতো।
পাড়ার লোকে থাকতো ভয়ে কখন যে দেই হানা,
অনুষ্ঠানের সাহায্য চাই ছিল সবার জানা।
নিজে দিতাম বাবার টাকা পকেট খরচ যতো,
তবুও যে অনুষ্ঠানে মনটা তৃপ্ত হতো।
পড়ার ফাঁকে ব্যাস্ত সময় খেলার আয়োজনে,
বাবা-মায়ের বকুনি তাই থাকতো রাত্রি ক্ষণে।
অসুস্থ কেউ হলে পরে ছুটে যেতাম আগে,
বাসতোভালো আবার ফুঁসতো যে কেউ রাগে।
সেই কিশোরে সাহিত্যকে ভালোবেসে ফেলি,
আস্তে আস্তে শব্দে শব্দে শব্দ ডানা মেলি।
পাঠ্য বইয়ের পড়া বাদে শব্দ গেঁথে যেতাম,
পত্রিকাতে ছাপা হলে আনন্দও পেতাম।
এখন ভাবি সময় অতীত হয়নি করা কিছু,
অযথা কি ছুটেছিলাম মিথ্যে মোহের পিছু!!!!!