হারিয়ে গ্যাছি সেই সকালে
আম্র বৃক্ষের ডালের দোলনায় দুলতে
পুতুল নিয়ে খেলতে
কাদা-মাটির সংসার সাজাতে নিখুঁত নৈপুণ্যে
ছড়িয়ে দিতে লাবণ্য কেশ।
একটু ব্যথায় কপোল গড়াতো বাঁধ না মানা অশ্রু
খেলতাম, হাসতাম, জড়িয়ে নিতাম আদরে,
আজকে ঢাকো প্রান্ত বেলায় লাবণ্য কেশ চাদরে।

দিনে দিনে বেড়েছে জগৎ,
পরিধি বেড়েছে, সংসার, স্বজন
মুক্ত কপোতীর মতো এখন আর উড়তে পারোনা
দায়িত্বের খাঁচায় বন্দি চির চঞ্চলা সুহাসিনী।
তবু দু'দন্ড শান্তি পেতে খোলা লাবণ্য কেশে বুলাই অঙ্গুলি
খুঁজি অতৃপ্ত ভালবাসা।
মনে হয় সেই ষোড়শী তুমি
কষ্টের কষ্টিপাথর আজো জল শুষে নেয়
ঢেকে দেয় তোমার চুলের মতো কালো কষ্টের জগতে।

লাবণ্য কেশে খুঁজি হারানো দিন
পথহারা যাযাবর পথিক
এক চিলতে ভালবাসায় ফিরে পাই পথ
ভুলে যাই শপথ
কেশে ঢাকি মুখ
আঁধারে হাসি তৃপ্তির হাসি।।


৭ নভেম্বর, ২০১৬ ইংরেজী।