. গ্রীষ্ম এলো বৈশাখ জ্যৈষ্ঠে
উঠছে গগনে ডাক,
আকাশ দেখি মেঘে কালো
ঝড়-তুফানের ভাব।
ঘুর্ণীঝড়ের টাণ্ডব দেখে
ভয় জেগেছে মনে,
ঘর বাড়ি আজ ভেঙে দিল
চলছে জীবন কষ্টে।
জৈষ্ঠ্যে মাসে অধিক গরমে
কাঁঠাল পেকেছে এখন,
মধূর মাসে আমের রসের
গ্রীষ্ম করে নিমন্ত্রণ।
বর্ষা এলো আষাঢ় শ্রাবণে
বৃষ্টি পরছে বারি,
মাঠ দেখে আজ প্লাবন হলো
দেখছে রাখাল চাষী।
গোয়াল ঘরে গোরু বাঁধা
ডাকছে অনাহারে,
রাখাল গেল গাস কাটিতে
ডিংঙ্গী নৌকা নিয়ে।
ঘরের চালে বৃষ্টি পরছে
এই তো মনের ক্ষুভ,
চাষী হাটে ছাতা মাথায়
দেখছে বর্ষার রূপ।
শরৎ এলো ভাদ্র আশ্বিন
ফুটছে শিউলী ফুল,
কাশবন গুলি জরিয়ে ধরি
এই তো মনের সুখ।
চাষী গেল বীজতলাতে
কুড়ছে কাদামাটি,
আপন মনে বীজ ভুনেছে
আশায় আছে বসি।
রাতের বেলা চাঁদ উঠেছে
দেখছি জোৎস্নার আলো,
নদীর ঢেওয়ে জোৎস্নার প্রেম
এই তো শরৎ এলো।
হেমন্ত এলো কার্তিক অগ্রায়নে
দেখছি শীতের জন্ম,
শিশির কণায় পা ডুবেছে
গাঁয়ে হাটলাম কত।
কুয়াশার চাদর দিন ডেকেছে
হারিয়ে গেছে রবি,
কোমল শরীরে বারিন্দায়তে
উষ্ণ রোদটি খুঁজি।
আমন ধানে বাম্পার ফলন
চাষীর মোখে হাসি,
হেমন্ত আজ বিদায় নিবে
এই তো জানলো চাষী
শীত এলো পৌষে মাঘে
হাঁড় কেপে ভাই শুনে,
নকশী কাঁতা গা ডেকেছি
মুড়ি খাচ্ছি বসে।
ভোর সকালে ঘুম ভেঙেছে
উঠলো চাষী জেগে,
লাঙ্গল কাদে গোরু হাঠে
কোয়াশার চাঁদর ছিড়ে।
খেজুর গুড়ের বাপা পিঠা
ছোলায় আছে গরম,
শীত গেলে ভাই স্বাদ পাবেনা
পিঠা খাবে এখন।
বসন্ত এলো ফাল্গুন চৈত্রে
নতুন পাতা গাছে,
কৃষ্ণচুড়া ফুল ফুটেছে
কুকিল ডাকে ঢালে।
চৈত্র মাসে অধিক খড়ায়
মঙ্গায় এখন জেলে,
নদী বীল শোকিয়ে গেল
মাছটি পায়না খুঁজে।
দখিনা হাওয়ায় ডাক দিয়েছে
দেখছি ঝড়ের গতি,
বসন্ত এবার বিদায় নিবে
গ্রীষ্ম এলো চলি।
————///———
মোঃ রোকন আহমেদ।
মাইল এন্ড ( লণ্ডন থেকে )
তাং১২/০৮/১৮ইংরেজী।