তোমাকে ছুঁয়ে থাকতে খুব ইচ্ছে করছে মাটিরাঙ্গা মেয়ে, ধান ভানতে নাল তুলতে আশ্চর্য কৌশলে জাবনা কুটে চাতালের ধান উড়িয়ে কি করে দু মুঠো স্বপ্ন কিনে নাও তুমি ! ছাই গাদায় শসা মাচান আর মাটিচুলায় কি করে ফুটিয়ে তোলো লাউয়ের ফুলের মত দুধ সাদা মুড়ি !  
আমার না পারায় অভিঘাত তোলে শুষনি শাক, কাঁথাঝুলি,ঢোল কলমির আধচোখে চেয়ে থাকা  

কেবল গৈরিক জলে পা ধুয়ে আমি পদ্মাকে চিনি, ভেঙ্গে নিচ্ছে ভিটে ঘর, মিস্টিলাউ আর মোরগঝুঁটি উঠোন
তোমার কাজলী, ধবলী , কালাপাহাড় আর্ত ডেকে নেয় ছুটকি বাছুরটিকে! তুমি শিশুটিকে বুকে নিয়ে ছুটে যাও নতুন মাটির খোঁজে আবার বুনে নাও পাতাকপির ক্ষেত  
আমার আপোষের দুধ ভাত, তোলা জলে সাগর স্নান, ভারী রাত দুয়ো দেয় দু ঠোঁট চেপে  

ভাঙ্গা ঘরের এক কোণে নাগরিক অহংকারের ঝুল বারান্দায় উড়ে যায় টোব্যাকো সুঘ্রাণ,সংবিধিবদ্ধ সতর্কতাকে কান্নি  মেরে শিশুটি গিলে খায় বিষাক্ত ধোঁয়া অনিশ্চিত সময় মাটিহারা হাহাকার সম্ভারের সুবাসহীন দিন রাত ক্ষণ, আশ্লেষ  ঘৃণার চিকন আঙ্গুল ধূম নাচায় না পছন্দ গীতিনাটককে ,  
আমার নখের আড়ালে ভাসে নাগরিক অ্যাসিড প্রতিশোধ ঈর্ষার সোনালি কীট
      
তোমার হাতের উপর একবার হাত রাখি অমিত শস্যনারী,  জলগোলা লালমাটি মাখা ভেজা হাতে একবার ছুঁয়ে দাও !  
নাগরিক শুষ্কতার রূপটানে আমি এক মরমি পাখি, ভালবাসতে জানি শুধু, খুব বেশি ভালবেসে তোমার বাড়ির দখিন  কোণে এঁকে দেব কলাপাতা সবুজ আকাশ,  উঠোনে মা লক্ষ্মীর আলপনা, সাঁঝ সন্ধ্যায় জ্বেলে দেব দূর হোক আলাই বালাই লক্ষণ রেখার শুদ্ধ প্রদীপ
একবার কাছে ডেকে নাও ভুমিকন্যা একবার ছুঁয়ে ভেঙ্গে দাও নাগরিক ধুলামাখা পরিপাটি এই মুখ।  
----------------------------------