তের পাতার চিঠিতে উনতিরিশটি বানান ভুল
আমার হলে তিনশ ছাড়িয়ে যেত – হাহাহা
আমাদের সম্মিলিত হাসিতে পার্কের জমাটি দুপুরপ্রেম ভেঙ্গে ছত্রখান
তখনো সরল নদী, শ্যামল মেঘ
মগজে শিমুল পলাশ
হাতুড়ি ছুঁয়ে আছে কাস্তের নীলাভ ধার
তখনো বর্ষায় নীল, বসন্তে হলুদ,
বৈশাখে কদম আর ভেজা ঘন চুমু
মুখোস খুলে গেলে নদীও কেঁদে উঠে
বুকের পাড় ভেংগেছে, রক্ত ঝরেছে নিঃশ্বাসে
তবুও ফিরিয়ে নিলাম ভালবাসা
এই শ্রাবণে কাঁদিনি আর,
ঘন ঘোর মেঘগুলো ডেকেছিল অশ্রু দেবে বলে
আমি হাতে তুলে নিইনি জল,
তোমাকে ভোলার সুখে প্রগাঢ় জ্যোৎস্নায়,
জল শিশিরে ধুয়েছি ঠোঁট
এবার নদী বেঁধেছি হৃদয়ে
ভুল বানান শুদ্ধ করে চিঠি ফেলেছি মনে
মন তুই পড়ে নে
অবিশ্বাসের খয়েরী চাদর কেন বিভ্রম আনে,
ঢেকে দেয় ডাহুক ডাহুক মন আর
বলাকা উড়ান দীঘল পলাশ দুপুর ।।
------- রুখসানা কাজল --------