আকাশ থেকে খসে গেছে কিছু আকাশ,
ধুলোমাখা চোখে পৃথিবী দেখে নিচ্ছে মৃত্যু দেবতার ছাইঘর,
নোংরা নখের আংটায় কি করে সে তুলে নেয় ধরিত্রী সন্তান ।  
খসে পড়া আকাশের কিনারে বসে
রোগা ভোগা এক কবি পা দুলিয়ে বলে গেল, খুঁজে দেখো
দু লাইনের মধ্যবর্তী শুন্যতায় লুকিয়ে আছে এক কালো নদী ,
হা হা তেপান্তর, হিজলের গুলতি, কত শত হারানো প্রেম! আর আছে
হাত সাফাইয়ের কুমন্ত্রণা, ঝোড়ো বৃস্টির মত হাজার চুমুর ইতিহাস !
প্রান্তিক লাইনে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে আছে অনাহারের ফ্যাতরা ফাইল,
কিছু প্রতিবাদ,অসুখী সাম্যবাদের শরীরে অসমান লেসের ঝকমকে ঝালর।

বোধের উপর ঝাপটে পড়ছে মন খারাপের খরস্রোত,
সন্ধ্যা নামতেই হলুদ আলো ফেলে ফেলে রাত্রির শরীরে কি খোঁজে জোনাক ?
রাত্রির বকুল বুক! আরও নীচে প্রমত্ত উন্মেষ !  

হাত খরচের হিসেবের খাতায় চোখে পড়বেই এমন এক চিরকুটে
লেখা ভাসে,সম্পর্কে বোঝা বাড়ছে, কথারা পথ হারাচ্ছে, সুখ কই দেহ ও মনে?  
সময় দরাজ হাতে খুলে দেয় খিল, মুক্তির, মৃত্যুর, বিচ্ছেদ অথবা পলায়নের।
৩/৮/২০১৪