তোমার কবরে কিছু ফুল এবং রক্ত রাখলাম প্রিয়তম!
সাত হাত মাটির নীচে ভেবো না তুমি একা থাকবে চিরকাল !
মৃত্যু ঘিরে ফেলছে চতুর্দিক, জীবন শেষের গান শুনছি অহরহ, আমিও  
আসব দ্রুত মাটির সংসারে মাটি হয়ে তোমাকে জড়িয়ে নেব বাহুতে।
পৃথিবীর বড় অসুখ , সন্তান হারাচ্ছে মাকে,মা সন্তানকে ,
পিতার বাহুর আড়ালে ভেঙ্গে যাচ্ছে আশ্রয়, সেখানে মৃত্যু
ছোপ ছোপ উদ্যানে রক্ত মাটি অশ্রু ভরা সময়
সংখ্যাতীত অদৃশ্য এফিটাফ পুঁতে যাচ্ছে সকাল সন্ধ্যা।
কতবার ভেবেছি কেয়ামত হলে লুকাব বাবার বাহুতে,  
আজন্মের খদ্দর পরিহিত বাবা হাত উঁচু করলেই শত্রু মিত্র এক হত
নিমিষে, আঙ্গুলের ভাঁজ খুলতেই নেমে আসত শান্তি পতাকার প্রপাত,
পরশু সকালে ইস্পাতরঙা মৃত্যু ঝলকে উঠল সবুজ আঙ্গিনায় ,
আমাদের সুখের ঘর পুড়ল ! কেবল ছাইরঙা ভিটেতে একটানা কেঁদে যাচ্ছে
টমি কুকুর , তোমার ফিরে আসার প্রত্যাশায়।।

তখনও ভোর হয়নি , সূর্যের আলো নয়
মিসাইলের হলুদ দাঁত  ছিন্ন ভিন্ন করে দিল আমাকে,
গর্ভের পবিত্র জমিনে যে শিশু শুয়েছিল সময়ের অপেক্ষায়
মা ডাকার আগেই ঝরে গেল বেয়নেটের নীল আঁচরে,  
চোখ বোঁজবার আগে দেখতে পেলাম উদ্যত বুট, বুটের নীচে পৃথিবীকে
ছিন্ন ভিন্ন করার ষড়যন্ত্রের কালো নক্সা, সম্মিলিত নিষ্ঠুর হাতগুলির
আলিঙ্গন বদ্ধ শক্ত নিগূঢ় ছাপচিত্র, মুখগুলো মানুষের কিন্তু মানুষ নয় যেন;
তুমি যে বলেছিলে পৃথিবীর দারুন অসুখে কেউ কেউ
জেগে থাকে, অনির্বাণ আলোতে জেগে উঠে কারো কারো হৃদয় !
মানবিক ঐক্যের শাদা ঢেউ ভাসিয়ে দেয় সকল জঞ্জাল !
তাদের আর দেখতে পেলাম না প্রিয়তম।
                       **********