আজ আর স্বপ্নে কোন ভয় আসেনি,
একজন ফ্যাকাসে রঙের মানুষ সাদা কলার উঁচিয়ে
ডেকে বলেনি, নম্বর সেভেন এর জন্যে হাবিয়া দোযখ!
কেউ একজন বলেছিল সাহস আনো, পুরণো দেরাজের ফাঁকে
লুকিয়ে রাখা কাগজটা ছিঁড়ে ফেললেই মুক্তির তেপান্তর।
সাদা জল, রুপা জলে মুখ ধুয়ে আকাশ দেখেছি আজ,
ভাঙ্গা জানালার কাঁচ বেয়ে দূর দূরগুলো খুব কাছে এসে বলে গেল
সব কিছু থাকে না আগের মত, মায়ের লতানো হাতের মুঠোয়
যে স্নেহ দোল খায় আমি তার শাঁস খেয়ে পুর্ণ হয়েছি !
আমপারা পড়িনি সম্পুর্ণ, প্রতিটি আরবী হরফে নিষেধের নিয়ম,
বরং দেখেছি হুজুরের অভাবী মুখে ক্ষুধার উট
লম্বা গলায় শুঁকে নিচ্ছে সেমাইয়ের সুবাস,
শেষ পাতেও জল ঢেলে শুষে খায় সাদা বাটির আনাচ কানাচ।
একজন কবির মুখে কবিতা ও হিংসার কোলাজ,
এড়িয়ে গেছি বহুবার,এবার ভেঙ্গে দিলাম জলতরঙ্গের শব্দে,
আর সাহসের পাখিরা উড়ে এসে বসলো আমার হাতে ,
জানি আজ এক স্বপ্ন আসবে রাতে,
বিশাল প্রান্তর পেরিয়ে ছুটে আসবে একটি সাহসি ঘোড়া
আর তার সোনালি কেশরে উড়বে, মুক্তির সাহস!!