দিন-দিন বড় অভিমানী
হয়ে পরছি ।
আর ভীতু হয়ে পরছে , এ রাত ।
চোখের পানিগুলো
আমায় ফাঁকি দিচ্ছে
সে আর ব্যথা কমাচ্ছে না
   বরং বাড়ছে ।
যত রাগ ওই বাঁকা চাঁদটার সাথে
পূর্ণিমা এলেই,বুকটা হু-হু করে ওঠে।
মাটির দমবন্ধ করা নীরবতা
আমায় পাগল করে দিচ্ছে।
আমার মেঘগুলো আকাশকে ঢাকে না
পুড়ে যাচ্ছে,পুরো দেহ।
চোখ ভিজে যাওয়া,হাসির জন্য
একটু হাসি,কৃত্তিমতা ভর করে।

দিন-দিন বড় অভিমানী
হয়ে পরছি ।
আর,একলা হয়ে পরছে, এ যানজট
কোলাহলেও পাচ্ছি, গোরস্থানের নীরবতা
নিজেকে মাঝে মাঝে শুনতে পারি ।
গন্তব্যের নানান পথগুলো
মরীচিকার মত খেলছে।
মনের ভিতর জমানো সব বেদনা
তোমায় ফিরে পেতে চাইছে
চোখের হতাশাগুলো
মৃত্যুর অপেক্ষায় আছে।
আর,ডায়রিতে ঝরে যাওয়া গোলাপ
ভালবাসাকে পরিহাস করছে ।
আমি আর হাস্যকর পাত্র হতে চাই না।
রঙ্গমঞ্চের এককোণের
দর্শক হয়ে থাকবো।
তোমাদের গালিও যেমন
আমি চাই না; তালিও চাই না ।
দিন-দিন বড় অভিমানী
হয়ে পরছি ।
আর,ছিঁড়ে ফেলছি সম্পর্কের
সব মায়া জাল।

রচনাকালঃ২০১৫ইং