তিনটি বছর ধরে বইমেলাকে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষণ করে এবং পাঠকদের বই নির্বাচনের বিষয়টি উপলব্ধি করে,একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বাঙ্গালী পাঠক ভীত। তারা দুইটি বিষয় নিয়ে ভীত প্রথম ক্যারিয়ার দ্বিতীয় আখেরাত। এই দুটি বিষয়ের উপর ভীত হওয়া নিশ্চয়ই মন্দ বিষয় নয় বরং অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রথমটি নিয়ে কথা বলি ,আমাদের মত নিম্নমধ্যবিত্ত একটি দেশের মানুষ ক্যারিয়ার নিয়ে সংকীর্ণতায় থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। তাই ক্যারিয়ারের নামে যেই জগাখিচুড়ি তাতে খাওয়ানো হোক না কেন, সে খাবে। এবং সে আঙ্গুল ঘষে ঘষে পড়বে সময়ের কাজ সময়ে করতে হয়, কোন কাজকেই ছোট করে দেখতে হয় না, আত্মবিশ্বাসী হতে হয় ,একবার না পারিলে দেখো শতবার ইত্যাদি শিশুকাল থেকে জানা বিষয় সে পড়বে তবে কিছুই চর্চা করবে না অথবা নিজের জীবনে প্রয়োগো করবে না।
এখন আসি দ্বিতীয় বিষয় আখেরাত, দেখতেও ভালো লাগে বর্তমান সমাজ আখেরাত নিয়ে চিন্তিত। আর যে জাতি আখিরাত নিয়ে চিন্তিত তাদের মধ্যে নৈতিকতা এবং প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে জবাবদিহিতামূলক আচরণ লক্ষ করা যায়। তার মধ্যে সবসময় উপলব্ধি হয় তাকে কেউ দেখছেন। সুতরাং আখিরাতে বিশ্বাসী মানুষ কোন পাপ, অনাচার,অন্যায় করতে পারেনা এবং সেই সমাজ থেকে এসবই বিলুপ্ত হয়। কিন্তু আমাদের সমাজে কি এর কোনো লক্ষণ দেখা দিয়েছে? যদি দেখা যেত তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে জুম্মার মতন মানুষ হতো। আমাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ অধিকাংশ সময় রাস্তায় পড়তে হতো কিন্তু আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ প্রথম কাতারেই পড়তে পারছি। মানুষ নবী,রাসুল এবং সাহাবীদের জীবনকে বানীকে রূপকথার মত পড়ছে, ধারণ করছে না।
এই দুটি বিষয় শুধুমাত্র জানা বা উপলব্ধি করা যথেষ্ট নয়। চর্চা এবং প্রচেষ্টা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই দুটি বিষয়ে মনভোলানো বাণী আর হাদীস দ্বারা সীমাবদ্ধ না রেখে চর্চার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বর্ণনা করা উচিত।