যা কিছু বলি, যা কিছু করি, যা কিছু হয় সংঘটিত,
সব স্বেচ্ছায়, কারো আজ্ঞার অপেক্ষায় থাকি নাতো।
সব মর্জিমত সংঘটণের কতটুকু আছে এক্তিয়ার?
ভেবে কী দেখেছি কভু মনোনিবেশে একটি বার?
কুসংস্কারের কূপমণ্ডুকতায় যখন আমি আচ্ছন্ন
আমায় নিয়ন্ত্রণের দায় নেই কারো জন্য।
আজ ফুলের মতো শিশু, কাল অসহায় বয়োবৃদ্ধ,
অজস্র দৃষ্টান্ত দেখেও একটুও হই না আমি সিদ্ধ।
কর্মের ফল বিধাতা নিজ নিজ কাঁধে ঝুলিয়ে দেন,
সময় থাকতে বুঝি না, নির্ধারক একজন আছেন।
সময় স্তরে স্তরে সব করে দেয় কত পরিবর্তিত,
আবর্তিত দেখে হতে হয় বিমুগ্ধ অথবা বিস্মিত!
কাঁধ যখন নূয়ে পড়ে কিছুটা উপলব্ধিতে আসে,
শোধনের সময় থাকে না, অনুতাপে বুক ভাসে!
কিঞ্চিৎ অনুভব করি না সামনে কী অপেক্ষমান!
সাফল্য, অধঃপতন, মর্যাদা নাকি তীব্র অপমান?
নিজের স্বেচ্ছাচারীতায় কার হলো কতো সর্বনাশ!
একথা ভাববার মতো একটুখানিও নেই অবকাশ!
কোত্থেকে এলাম, আছি, কোথা যাবো এই সত্যতা,
অনুধাবনের সুযোগ দেয়নি রঙিন জীবনের মত্ততা।