মানুষ পৃথিবীতে আসে সাক্ষরহীনভাবে
তবে মা'বুদ সবার মননে মেধা, বিবেক-
বিবেচনা, আবেগ-অনুভূতি দিয়ে প্রেরণ
করেন। পরবর্তীতে ইন্দ্রীয় জ্ঞান অর্জন
করে, মা'বুদের আনুকূল্য লাভ করে।
সাক্ষরজ্ঞান অর্জন না করেও এগুলো দ্বারা
বিচার-বিশ্লেষণ, ভালো-মন্দ নির্ণয় করে
পৃথিবীর জীবন অতিবাহিত করতে পারে,
কিন্তু এমন ব্যক্তি যদি কারো কর্তৃক তার
নিজস্ব কল্পনাপ্রসূত বিশেষ জ্ঞান দ্বারা
সম্মোহিত হয়ে যায় তবে নিজেরেই অজান্তে
ভালো-মন্দ বিচার-বিশ্লেষণ, আবেগ-অনুভূতি,
আকর্ষণ-বিকর্ষণ, আপন-পর পার্থক্য করার
উপলব্ধি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও উদ্ভাবন
শক্তি হারিয়ে ফেলে। সে নিজেই বন্দি, তার
অন্যকে মুক্ত করার সামর্থ থাকে কী করে?
শব আর তার মধ্যে কোনো তফাত
থাকে না। পাশ থেকে যদি কেউ কোনো
মধুর সম্পর্ক ধরে সম্মোধন করে আহ্বান
করে তবে সে শুনতেও পায় না।
আশ্চর্যের বিষয়! মানুষ এমন অদ্ভুত! স্বার্থের
বিষয়ে কেউ তাকে সম্মোহিত করতে পারে না।
এদের পৃথিবীতে আগমন বৃথা। এরা ফলহীন
ফলদ বৃক্ষের মতো, পৃথিবীর মূল্যবান জায়গা
দখল করে থাকে। অকারণে মা'বুদের দেওয়া
আলো, বাতাস, অক্সিজেন ভোগ করে।
শুধু একটু ছায়া বিতরণ করে কিন্তু উপড়িয়ে
যদি গৃহের উপর পতিত হয় তাহলে মর্মান্তুদ
প্রাণহাণির ঘটনাও ঘটাতে পারে।
২০/১১/২০২৩ খ্রিঃ