কোনো বিষয়ে কেউ আমায় "বিভ্রান্ত" বলে করে জখম!
আমি সত্যাসত্য জেনেও কাউকে উপাধি দিইনা এরকম।
স্বচক্ষে দেখি, সমুখে স্ব স্ব বন্যপশু করে প্রতিপালন,
নিন্দা আমার আদব নয়; উল্টো তারাই করে আস্ফালন!
পূর্বে ঘোরান্ধকারে ছিলাম, এখন আর আগের মতো নই,
যদি কেউ বলে "এ কথায় আমরা কীভাবে নিশ্চিত হই?"
তার প্রমাণ-পৃথিবীর সর্বজন স্বীকৃত ঘৃণিত, নিকৃষ্ট,
ধরার শান্তি বিনষ্টকারী, সব ফ্যাসাদ যার দ্বারা সৃষ্ট।
সে আমার আকিদা বিশ্বাসের সাথে সম্পূর্ণ বিপরীত,
সমুদ্রের সাথে সংযোগ মোর, নই নোংরা নর্দমা পতিত!
আমায় নিয়ে তার দোশরদের ধারণা বানোয়াট একদম,
প্রশ্ন আমার! তারা যদি অভিশপ্ত, তাহলে কে সর্বোত্তম?
চৌদ্দ পুরুষ ছিলো অন্ধকারে সেটা তাদের স্ব স্ব ব্যর্থতা,
আমার ভালো-মন্দ বুঝা, গ্রহণ বর্জনে আছে স্বাধীনতা।
যদি অজ্ঞাতে ভ্রমণ করে যেতাম, অজ্ঞাতে থাকতো সব,
পার্থিব ছাড়াও এক জগৎ আছে অজানা থাকতো অকৈতব।
মন্দ থেকে বেঁচে গেছি, তবুও মনে ভীষণ আফসোস!
কতোজন অজ্ঞাতে হারিয়ে যায়, এতো পরম্পরার দোষ।
ভাগ্যক্রমে পেয়েছি এক অলৌকিক প্রদীপের সন্ধান,
পৃথিবীর কোনো অমূল্য সম্পদ নয় তার সমমূল্য মান।
তোমরাও পেয়েছো সে খবর, না জেনে শুনে বিস্তারিত-
শিরোনাম শুনেই অকারণ হয়ে যাও ক্ষিপ্ত ও উন্মাদিত!
তোমরা কী অনুধাবনে ব্যর্থ? নাকি না বুঝার করো ভান?
ধ্রুবসত্যকে অস্বীকার নির্লিপ্ততা উপেক্ষায় সাধু সাবধান!
যে চোখের সুযোগ হয়েছে দেখার কতো না রহস্যাবৃত,
যে হৃদয় উপলব্ধিতে সক্ষম কতো ঘটনা অপ্রত্যাশিত!
তাকে কীভাবে রাখবে আশাহীন মিথ্যা মরীচিকায় আবদ্ধ?
কীভাবে তিমিরে দেবে বিসর্জন? কষ্টার্জিত মণিমুক্তো লব্ধ?
অনুগ্রহ পেতে নিজকে রাখতে হয় পরিশীলন ও সংযত,
উগ্রতা পরিত্যাজ্য, সত্য সমাদরে অন্তর হোক বিকশিত।
২৪/০৮/২০২৩ খ্রিঃ ।