আঘাতে আঘাতে পরিণত আজ পোড়া বৃক্ষে
নির্জীব তবু নির্বাক তাকিয়ে আছ অন্তরীক্ষে।
তরুণ বেলায় কত তরুলতা দুলেছে ওই গলে
আজ শুকনো কাষ্ঠ অনাদরে ভেঙে পড় পদতলে।
তরুলতায় ছেয়েছে বনানী, তুমি শুকিয়ে খাক্
গর্ব তোমার, মহীরুহ ছিলে, কারো মনে না থাক।
যদি কেউ না মানে এ অকৈতব সত্য বাক্য
চাঁদ-সুরুজ-আকাশ দেবে তার চুড়ান্ত সাক্ষ্য।
তোমার নিবিড় ছায়ার কথা ভুলে গেছে জনপদও
পথিকে নিয়েছে ছায়া, শাখে পাখি গেয়েছে কতো।
প্রবল ঝড়ের মাঝে তোমার সবুজ শাখায়
কতো আহত, ক্ষুধার্ত পাখি নিয়েছে আশ্রয়।
কতো প্লাবনে নিরুপায় উভচর তোমার শক্ত ডালে
কাটিয়েছে নিরাপদ সময়, জীবন সঙ্কটকালে।
তাই গর্বে তোমার বুক ওঠে কেঁপে কেঁপে
অত্যাচারে ছোট বৃক্ষের ধরোনি ঘাড় চেপে।
পড়লে বাঁচ, সদা যাচো, আসুক হিংস্র ঝড়
দাঁড়িয়েই আছ নিস্পলক, কঠিন তোমার শিকড়।
দিবা-নিশি নিষ্ঠুর যাতনে প্রাণ করে ধুক ধুক
অত্যাচারীর কুঠার আঘাত ভাঙছে তোমার বুক।
রচনা :২৫.০৪.২০১৪ খ্রিঃ