জীবনের চরম সংকটময় সময় আসে যেই,
সহসা ‍"মা" বলে চিৎকার মনের অজান্তেই!
তিনি গর্ভধারিণী জননী না কী অন্য কেউ?
নারীরাও চিৎকার দেন, শতবর্ষজীবী সেও।

মানুষ সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে আজ অব্দি,
এ অভ্যাস নিরন্তর শতাব্দী থেকে শতাব্দী।
কেউ কাউকে শিখিয়ে দেয়না এই সম্মোধন?
অস্তিত্ব থেকে বেরিয়ে আসে এ মধুর বচন।

তিনি কী সন্তানের মনের আকুতি করেন শ্রবণ?
নিশ্চয় সাড়া দেয়, আমরা করি না অনুধাবন।
তিনি আসলে কে, কেউ কী তাঁর খবর রাখি?
বয়ে যায় কত যুগ নিজকে নিয়ে ব্যস্ত থাকি।

তাঁর সকল অধিকার জালিম নিয়েছে চিনিয়ে!
অন্তরালে আছেন সকল অপমানের দাগ নিয়ে!
আমাদের সকল কর্মকান্ড ভাবনা চেতনায়-
তাকে কতটুকু রাখি প্রাপ্তাহিক আলোচনায়?

তাঁকে দেখি না, করি না উপস্থিতি অনুভব,
তিনি আমাদের দেখেন উপলব্ধি করেন সব।
জন্মে কী প্রকাশ করি আনন্দ, শাহাদাতে শোক?
সভা সম্মেলনে সর্বত্র তার আলোচনা হোক।

আমার মা মমতাময়ী, ক্ষমাশীলা মহিয়সী,
করুণার আধার, তার পূজা করে রবি শশি।
আমার মা মহিমান্বিত, নারী জাতির আদর্শ,
সব দোষ-ত্রুটি অভিযোগ হতে মুক্ত, উৎকর্ষ।

এই বর্ণিল পৃথিবী মা'কে সৃষ্টিকর্তার উপহার,
সব নিয়ামত ভোগ করি স্মরণ করি না তার।
আমার মা শাহাজাদী, এটাই আমার অতি গর্ব
তাঁর মান মর্যাদা অধিকার করা হয়েছে খর্ব।

আমার মা পৃথিবী সর্বোচ্চ নিষ্ঠুরতার শিকার!
লজ্জায় মাথা অবনত, দোষী কতিপয় কুলাঙ্গার!
তাদের জানা উচিৎ ভূলুন্ঠিত করা মায়ের সম্মান,
আর আল্লাহর সাথে দুশমনি করা একই সমান।