কখনও কখনও ঘরে আমি একাকী বসে থাকি
গভীরভাবে চোখ দুটো কবিতার আসরে রাখি।
সামনে দিয়ে ফুটপাথ এক্কেবারে অফিসের গা ঘাষা
রাত-দিন এই পথে কত লোকের যাওয়া-আসা।
কবিতা পড়ি, নিজেও লিখি, কাজের ফাঁকে অবসরে
জানি না ভাল হয় কিনা তা! তবুও লিখি শখ করে।
কবিতা পড়ার সময় আমি ডুবে যাই ভিন্ন ভুবনে
আমি আছি এধরার বুকে একথা থাকে না মনে।
একা একা পড়ি-লিখি, মন উৎস্যূক, চায় কিছু জানতে
মনই জানে না কখন যে, বিভোর হয় কোন্ অজান্তে!
জানি না আমার কবিতা পড়ে কারো এমন হয় কী না!
কবিতার জগৎ রহস্যময়, বুঝবে না কেউ হৃদয় বিনা।
কিছু কবিতা পড়ে আমার, ব্যথায় উথলে ওঠে মন
কোনটা আবার এ ভাঙা বুকে বেশ জাগায় শিহরণ!
কিছু কবিতার কথামালায় মোর দু'চোখ ভিজে যায়
আমি একাকী কবিতার স্বাদ নিই গভীর নিরালায়।
কিছু কবিতা পড়তে পড়তে মোর বড্ড পায় হাসি
কবিতার মাঝে অনেক অচিন জায়গা ঘুরে আসি।
সামনে দিয়ে মানুষ চলে আমায় বিস্মিত দেখে
কিছু একটা জিজ্ঞাসা করে নিজের ব্যস্ততা রেখে।
এমন দেখে অনেকে আমায় ভাবে পাগল নাকি?
মানুষজন নেই একা ঘরে কার সাথে মেতে থাকি?
এখানে কোন মানুষ নেই আছে তাদের মনের কথা
হাসি-আনন্দ-বেদনারা এসে ভেঙে দেয় নীরবতা।
রচনা : ০৪.১০.২০১৪ খ্রিঃ