কার এমন সাহস বলো
কবিকে পেয়ে একা
কলমখানা কেড়ে নিয়ে
বন্ধ করে লেখা!
একটানে খাতাখানা
ছিড়ে করে কুটি
তবু কবি'র হাস্যবদন
করেন না ভ্রুকুটি।
কার এমন দুঃসাহস
বলো থাকতে পারে!
কবি সব সহ্য করেন
কিছুই কন্ না তারে।
কখনো সে ঘাড়ে ওঠে
ব'লে "দাও হামাগুড়ি
তুমি ঘোড়া, আমি সওয়ার
তোমার নেই জুড়ি।"
অনেক সময় পাশে বসে
চুল টেনে সে বলে
লেখা রাখো এসো এবার
শোবে আমার কোলে।
কখনো পিছে জাপটে ধরে
দু'গালে দেয় হামি
এ রকম আবদার তার
চলে দিবাযামী।
এমনিভাবে রোজ জ্বালায়
লিখতে বসেন যেই
অনেক সময় ভাবনাগুলো
হারিয়ে ফেলে খেই।
কবি কখন কবিতা লেখেন
ভাগ্যে জুটেছে দেখা?
সে কবিতা বোঝে না, তবে
রোজ দেখে লেখা।
বলো দেখি কে হতে পারে
এমন ক্ষমতাবান?
সে আর তো কেউ নয়
কবি'র অবুঝ সন্তান।
(আমার সন্তানকে নিয়ে লেখা)
শার্শা, যশোর।
১৩.১১.২০১৪ খ্রিঃ