আমি কাঁদবো? না কী হাসবো? পাইনা ভেবে!
কাঁদা হাসার দুর্বিপাকে জীবন নেভে নেভে!
ভাবি- আমি রাগব? না কী শান্ত হব?
নিজের কথা আর আমি কাকে কবো?
আমি বিষ্মিত হবো? না কী থাকব ডুবে?
না কী প্রতিবাদমূখর হতে গিয়ে যাবো উবে?
ভাবি থাকবো নিভৃতে, সব যন্ত্রণা ভুলে!
সাহস আনি, বাঁচব, অত্যাচারীর শিকড় উপড়ে তুলে!
অত্যাচারীরা কখনও কৃতকর্মের করেনা স্বীকার
নির্বাক, তাই সে হাতে আজ নিষ্ঠুর এ শিকার।
মাঝে মাঝে ভাবি হবো প্রতিহিংসা পরায়ণ,
পারি না, ভাবি ক্ষমা ক'রে দেখাব সুনয়ন!
দেখাবো রক্ত চক্ষু? আক্রোশে কী পড়ব ফেটে?
না কী কাপুরুষ হয়ে অত্যাচারীর পদতল দেব চেটে?
ভাবি নিজকে বিলিয়ে হবো মহানুভব,
স্বার্থম্বেষী পিশাচরা তা কভুও করে না অনুভব!
আমি হবো দেশান্তরী, না কী চাইবো সুবিচার?
না কী থাকবো একাকী, অন্তরে জানাবো ধিক্কার!
আজও বিশুদ্ধ রক্ত দোলে মোর শিরা ও ধমনীতে!
সয়েছি যতো আঘাত, পারেনি তো শোধ দিতে!
আমি কী দুঃখ পাবো? না নিজকে ভাববো ফলবান?
না কী বুকের মাঝে কষ্ট চেপে হয়ে যাবো খান খান?
সয়না দেরী, হবো আত্মহন্তা হয়তো কবে!
শ্রীঘ্রই আমার কষ্টগুলো জেনে যাক সবে।
বার বার লাগে নুনের ছিটা পুরনো ক্ষতে!
নিভৃতে থাকতে চাই তা হয়না কোন মতে।
আবার যাঁচি আয়ু দীর্ঘ হোক
কালের স্বাক্ষী হব দেখুক লোক।
অন্যায় করেও সংসারে সব সাধু
সাধুরা আজ নিগৃহীত দাদু!
আমি কষ্ট পাই তবুও নইকো অত্যাচারী
আমার শেষ এবার অত্যাচরীর শুরু আহাজারী!