নিজের দুঃখ - কষ্টকে অন্যের সাথে মাপতাম,
আমার দুঃখ-কষ্টটা পর্বতসম আগে ভাবতাম!
কষ্ট রাখার জায়গা হতো না সংকুলান এ মনে.
আমি যেন তলিয়ে যাচ্ছি বিপুল কষ্টের ওজনে!
নাজুক শরীর, ভগ্ন হৃদয়, আছি মহাক্লান্তিতে!
স্বপ্নেও ভাবিনি হেথা আসা এতো ভার নিতে?
প্রত্যাশা ছিলো ফুলের মতো হবো বিকশিত,
চারপাশের বৈরীতা হতে দিলো না সুবাসিত!
চাঁদের মতো ছড়াবো সুধা, করবো আলোকিত,
বিপরীতে লেলিহানে পুড়ে, হয়ে যাচ্ছি সংকুচিত!
পৃথিবীর পথে প্রান্তরে সর্বত্র পরিব্যাপ্ত সংশয়,
ভাগ্যক্রমে এক পবিত্র সত্তার সাথে পরিচয়।
আমার প্রতি খোদার এটা এক বিশেষ অনুগ্রহ,
তাঁর সাক্ষাতে প্রশমিত আমার ভেতরের বিদ্রোহ।
পবিত্র সত্তার মর্যাদার উচ্চতার কাছে, আমি তাঁর-
পথের ধূলার চেয়েও তুচ্ছ ও নগন্য এক ছার।
তাঁর প্রতি যে অবিচার জুলুম নির্যাতন অপমান
ক্ষুধা তৃষ্ণা অসহায়ত্ব চাপিয়ে দিয়েছে বেইমান!
আমি এসব জেনে নিজের কথা ভুলেছি বেমালুম,
এখন নিজের জন্য নয় তাঁর জন্য বর্জন করি ঘুম।
নিজের কষ্ট ভুলে, অন্তরে তাঁরটা হয়েছে সংযোগ,
নিজেকে ভুলে তাঁর ভাবনায় করেছি আত্মনিয়োগ।
তাকে আর ভাবিনা শত্রু, যে আমার কষ্টের কারণ,
তাঁকে যারা কষ্ট দিয়েছে তাদের ঘৃণা করি এখন।