পশু নির্বোধ, হিংস্রতা তাদের সহজাত প্রবৃত্তি জানে সকলে,
তাই মানুষ তাদের সংস্রব থেকে সতর্কতায় দূরত্ব রেখে চলে।
বুঝে না বিশ্বাসঘাতকতা, তারা মনিবের আনুগত্যে একনিষ্ঠ,
মানুষ সৃষ্টির সেরা, স্বভাবে উত্তম গুণাবলী সমৃদ্ধ ও উৎকৃষ্ট।
উত্তম গুণাবলী সমৃদ্ধ, স্বভাবত অন্যের প্রতি করবে সে রহম।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, অন্তরে পুষে লালসা হিংসা বিদ্বেষ অহম!
অন্যের ক্ষতিসাধনে উপকৃত হবে এমন ভাবনায় নিমজ্জিত,
বুঝে না ভুক্তভোগী কতো রকম সংকটে পড়ে হয় জর্জরিত!
সৃষ্টির কল্যাণে সামান্য উপকার করলে হয়না ক্ষতি ততোধিক,
না চাইলে না করুক উপকার, কেনো করে ব্যবহার পাশবিক?
অন্যকে ঠকিয়ে হয়তো সাময়িকের জন্য লাভবান হওয়া যায়,
কর্মের ফল যখন প্রতিফলিত হবে পাবে না কোনো কিনারাই।
ভেবে লজ্জা লাগে, মানুষ হিসেবে এটা খুবই পরিতাপের বিষয়!
সে জন মানব সুরতে প্রেরিত হয়েও জানে না নিজের পরিচয়!
জলে স্থলে সর্বত্র বিচরিত কত হিংস্র প্রাণি মানুষের পোশাকে।
অধিক ক্ষেত্রে চিনতে ভুল হয়, দেখে সে পোশাকী মানুষটাকে।
পশুকে চিনতে কারও ভুল হয় না, সহজে উপেক্ষা করা যায়,
কিন্তু মানব সুরতে সজ্জিত পশুকে উপেক্ষা করা ভীষণ দায়!
০২/০৯/২০২৩ খ্রিঃ ।