মোরা শৈশবে কয়েক বন্ধু,ছিলাম একে অন্যের প্রাণ।
কেহ ছিলো হিন্দু কেহ মুসলমান।
চলিতাম একই সাথে, একই সাথে ছিল ওঠা বসা।
সে সম্পর্ক যে বড়ই মধুর, ছিল বেশ খাশা।
এসব সেই স্মৃতি যা ছিল স্কুল বেলার।
এসব সেই স্মৃতি যা ছিল ধুলো মাখা খেলার।
স্কুলে পরলে ছুটি, ছটফটিয়ে উঠতো মন।
এ জ্বালা মিটতোনা, বন্ধু রে না দেখতাম যতক্ষণ।
আজ মোর বড় শত্রু সেই বন্ধু।
কেননা আমি মুসলিম আর সে হিন্দু।
কেঁদে ওঠে আজো মন মিলতে বন্ধুর সাথে।
কতই না সাঁঝ কাটলো মোদের, খেয়ে একই পাতে।
যার কথা শুনে আজি গা করে ছমছম ছম্, কেঁপে ওঠে বুক।
সে জনই যে ছিলো মোর, ছোট বেলার পরম সুখ।
আমি জানি তার মনেও, এই জল্পনা চলছে।
কেন হে দুই মনের মাঝে, দ্বন্দ্বের আগুন জ্বলছে!
কেন ধর্ম নিয়ে এই অগ্নি যুদ্ধের খেলা?
কেন দেশময় চলছে এ জঘন্য ঝামেলা?
নিয়ে এসো তোমার আমার ধর্ম গ্রন্থ, বসি এক মঞ্চে।
উঠুক বাতাস ভরে ধর্ম মন্ত্রের গঞ্জে।
পেলে গো বন্ধু কোথাও, লেখা এই দ্বন্দ্ব?
ধর্মে নয়, মোদের অন্তরে ভরা হিংসার গন্ধ।
ধর্ম গ্রন্থ পরে দেখ, আমিও করি তাই।
দেখবে এই রূপ হিংস্র নিকৃষ্টতা কোথাও নাই।
মোরা স্রষ্টার নির্দেশিকায় না দিয়ে মন।
স্ব-ধর্ম রাষ্ট্র গঠনের দেখি স্বপন।
কতিপয় গোঁড়া ধর্ম কর্তা স্ব-স্বার্থের জেরে।
নিলো রে সুফলা শ্যামল দেশের শান্তি কেড়ে।
বলি ভাই সবের, উপরে ফেলো যা আছে মনের খোঁট।
বাড়াও গো তোমার হাত গড়ি মধুময় সম্প্রীতির জোট।