কোথা হে গেলে তুমি ওগো মোর প্রিয়া ।
খুঁজে ফিরি মর্ত ঘুরি তোমারে হেরিয়া ।
ওগো প্রণয়ী খুবই বৃহৎ তোমার হৃদয়ঙ্গনা ।
তব গগনে ব্রজ্যারত আমি অতি ক্ষুদ্র চন্দ্রকোনা ।
জানি আমি তব আসমানে অত্যুজ্বল নক্ষত্রের নাহি শেষ ।
তবুও আমারে দাও যদি ঠাঁই, তাহাদের মাঝে মানিয়া নিবো বেশ ।
তোমারই হৃদ সিংহাসনের অধিষ্ঠিত সবে ।
দেখায় রাঙা চোখ মোরে, মই সহি নিরবে ।
আমি যে গোলাম ওগো তব তপে মত্ত এ হৃদয়ের ।
ক্রীতদাসের ন্যায় করি কম্ম ত্রুটি দেয় ফাঁকি নজরের ।
ওগো নাহি মোর অত জৌলুস দেখাবারে জনে জনে ।
তবুও কই তব মত্ত মই আছে প্রেমরতন তব সনে ।
করো কিঞ্চিৎ দান ওহে হৃদয়বান দিওনা মরে ঠেলে ।
বেশি তো চাইনি আমি, দিলে হইবেনা কমি, আমি শান্ত সামান্য পেলে ।
তোমার সহস্র ভক্তের মাঝে হারায়ে যাই আমি প্রতিনিয়ত ।
তাহাদের সারির অন্তে দাঁড়ায়েআমি অপেক্ষারত ।
নইকো আমি পিপাসু চিকন শরীরের তব ।
যদি বক্ষে তোমার নাহি মেলে জাগা তব পদে আমি রব ।
তোমার পদধূলি পাই যদি ধন্য হবো মাখি তারে ।
মোর তো মেলে স্বর্গ সুখ যথা তোমারি প্রহারে ।
বুঝি হয়তো বিকেছি আমি মস্তকের সবখানি ।
দেখিয়া কল্লোলে ফোটা পদ্মে দাড়ায়ে বীণাপাণি ।
আমি যে এক বাস্তুহারা পথভোলা ছন্নছাড়া পথিক ।
হস্তদয় বাড়ায়ে সম্মুখে তব দাঁড়ায়ে মাগি প্রেমের ভিখ ।
আমি দারিদ্রে জরা অস্তপারের খ্রান্ত রবি ।
কেমনে ভরিবো আলোয়ে তোমারে আমি যে নির্জীব ছবি ।।।