এতো কষ্ট কেন দাও গো আমায়,
ওহে সখি বলবে কি একবার?
নিঃশর্ত ভালোবেসেছি তোমায়,
সেই জন্যই কি এই কাল উপহার?
জীবনে কি আমার আসবেনা বসন্ত,
পাবনা কি মিলনের পরম সুখ?
ছিন্ন জীর্ণ হৃদয়রে আঁকড়ে,
আর কত স্বপ্নে বাঁধবো বুক !
হা আমিই সেই অপদার্থ,
যার ঘুমহীন চোখ জাগে সারা রাত।
নিস্পলক তাকিয়ে থাকে দ্বার পানে,
ঝাপসা নজরে খোঁজে তোমার দুই হাত।
নিদ্রাহীন প্রতিটি রাত যন্ত্রণা দেয়,
বিষাক্ত গরল পানের ন্যায়।
জাগ্রত নিশীত কেটে প্রভাতের খুশি,
আঁখি দ্বয়ে লাল কাপড় খুলি, কোনো এক রুপসী নায়।
মনে পড়ে, কোনো এক মাঝ রাতে
কেঁদেছিলাম খুব করে।
গলার স্বর বুকের বাধা সব যেনো,
টেনে দিয়েছিলাম ছিড়ে।
ভাবলাম যদি যায় প্রাণটা বেড়িয়ে,
তবে যাক এখনি বুক ফাটা এই কান্নার সাথে।
খুশি খুশি ছাড়বো এই সার্থপর ধরণী,
মন চাইলে ফিরবো আবার কোনো এক অমাবশ্যার রাতে।
কিন্তু না বাঁচিয়ে রাখলেন স্রষ্টা,
হয়তো কাঁদবার দিন আছে বাকি।
হয়তো হৃদয়ে আছে কিছু রস,
যা নিংড়াতে এখনও বাকি।
কাঁদি গো আমিও কাঁদি,
যদিও প্রকাশ্যে নয় একা একা নিরালায়।
রাঙা চোখ দেখে কেউ কেউ ভাবে,
ছেলেটা গেছে একদম উচ্ছন্নারায়।
হৃদয়ের কষ্ট বুঝবে কে,
সে তো গুমরে মরে মনের এক কোণে।
আজও অবাধ্য মন আনচান করে,
খুঁজে ফেরে তোমাকে, ফেলে আসা নীল গগনে।